‘ আজকাল’ সাজাতে চান সত্যম, সমস্যা দূতদের নিয়ে

‘আজকাল’ কাগজে এক বিচিত্র পরিস্থিতি চলছে।

মালিকানার নিয়ন্ত্রণ এখন টেকনো গোষ্ঠীর সত্যম রায়চৌধুরীর হাতে। সম্পাদক আছেন বর্ষীয়ান অশোক দাশগুপ্তই। কর্মপদ্ধতির জট প্রবল। সূত্রের খবর, সত্যমবাবু কাগজটা ঢেলে সাজাতে চান। অথচ পারছেন না। যারা কাগজের প্রচার কমিয়ে এনেছেন, যারা যুগে যুগে সবরকম আর্থিক মদত পেলেও প্রতিষ্ঠান ও কর্মীরা সংকট থেকে বেরোয় না, যারা দায়িত্ব আঁকড়ে থাকতে অভ্যস্ত- এরকম একাংশের জন্য সত্যম আধুনিক মোড়কে সাজাতে পারছেন না। এর উপর আরেক সমস্যা তাঁর কিছু দূত। কাগজ পরিচালনার জন্য যে এমন কয়েকজনের উপর দায়িত্ব দিয়েছেন, যাদের কেউ কেউ কাগজ বিষয়টাই বোঝে না। মাঝারি বাংলা কাগজের রসায়ন তাঁদের আয়ত্তের বাইরে। কর্পোরেট কালচারে হামবাগপনা দেখাতে গিয়ে গ্রহণযোগ্যতা হারিয়েছেন কেউ কেউ। কর্মীরা সত্যমকে পছন্দ করলেও দূতদের উপর ক্ষুব্ধ। কোনো কোনো দূত যাই করুন, তার সামনে হেসে স্যর বলা কর্মীটিও তার প্রতিটি পদক্ষেপ অন্যদের বলে দিচ্ছেন। অ্যাটিটিউড সমস্যার জন্য বিশ্বাসের সম্পর্কটাই উবে গিয়েছে। সত্যমের এখন ত্রিমুখী সমস্যা। তিনি টাকা ঢেলেছেন, সদিচ্ছা দেখাচ্ছেন, কিন্তু সমস্যা তিনরকম-
প্রথমত, ব্যাপক আর্থিক ক্ষতি এবং চলতি অর্থসংকট।
দ্বিতীয়ত, আজকালের কিছু পদাধিকারী ও অংশ, যারা কাগজটাকে ডুবিয়েও চলেছে আবার পদ আঁকড়ে রাখতে মরিয়া।
তৃতীয়ত, সত্যমের নিজের বসানো দূতেরদের কেউ কেউ। উপযুক্ত সেতুবন্ধনের কথা ভেবে সত্যম প্রতিনিধি বসিয়েছিলেন। হয়েছে উল্টো। সাধারণ কর্মী থেকে ইউনিয়ন, সবাই চটে লাল। চাকরির বাধ্যবাধকতায় মানতে হলেও বা দমনপীড়ন নীতি সাময়িক সফল হলেও, বড় অংশ ফুঁসছে। ফলে সত্যম রায়চৌধুরীর আজকালকে ঘিরে স্বপ্ন আগামী দিন মসৃণ থাকবে নাকি জটিলতম হবে, তা নিয়ে প্রশ্ন আছে। এমনকি তাঁর কোনো প্রতিনিধি দিল্লিতে বিজেপি নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করে এলেও সেইখবর চাপা থাকছে না। তার দায়ও সত্যমবাবুর উপর পড়ছে। অপরিণত হাতে মাতব্বরির কারণে দূতেরা অনেকেই গ্রহণযোগ্য হচ্ছেন না। তেলেজলে মিশ না খেলে তা বড়ই বিড়ম্বনার কারণ!

 

Previous articleদিলীপই সর্বময় কর্তা, বুঝিয়ে দিল বিজেপি
Next articleবাড়তি সুবিধা দিতে বছরে 250 কোটির ব্যবসা করা সংস্থাকেও এবার মাঝারি শিল্পের তকমা