১০৭৬ থেকে ১৫৭১, রাজ্যে এক ধাক্কায় অনেকটাই বাড়লো কন্টেইনমেন্ট জোন

রাজ্যে করোনা- কন্টেইনমেন্ট জোনের সংখ্যা এক ধাক্কায় অনেকটাই বেড়ে গেলো৷
কন্টেইনমেন্ট জোনের সংখ্যা ১০৭৬ থেকে বেড়ে এখন দাঁড়িয়েছে ১৫৭১।

এফেক্টেড জোনের সংখ্যা ৭১৮ থেকে বেড়ে এখন হয়েছে ৮৪৪টি।

বাফার জোনের সংখ্যাও বেড়েছে৷ ৩ দিন আগে ছিলো ৩৫৮, এখন তা বেড়ে হয়েছে ৭২৭।

এফেক্টেড এবং বাফার, এই দুই জোন মিলিয়ে হয় কন্টেইনমেন্ট জোন৷ সেই সংখ্যা ১০৭৬ থেকে অনেকখানি বেড়ে হয়েছে ১৫৭১।

প্রশাসনের বক্তব্য, পরিযায়ী শ্রমিক আসার পরেই গত ৩-৪দিনে রাজ্যে করোনা সংক্রমণ মারাত্মকভাবে বাড়ছে।
গত কয়েকদিনে মারাত্মকভাবে সংক্রমণ বেড়ে গিয়েছে, বীরভূম, নদীয়া, উত্তর দিনাজপুর ও মালদাতে। পরিসংখ্যান অনুযায়ী দেখা যাচ্ছে, যেখানেই মহারাষ্ট্র থেকে পরিযায়ী শ্রমিকরা আসছেন, সেখানেই করোনা রোগীর সন্ধান মিলছে। আগামী ১০ জুন পর্যন্ত রাজ্যে আরও শ্রমিক স্পেশাল আসবে। আসবে প্যাসেঞ্জার স্পেশাল। ফলে করোনা রোগীর সংখ্যা আগামী ১ সপ্তাহে দ্রুত বাড়তে পারে বলেই আশঙ্কা করছে নবান্ন৷ তাই যেখানে নতুন করে করোনা আক্রান্তের সন্ধান মিলবে, তখনই সেই এলাকাকে কন্টেইনমেন্ট জোন হিসেবে চিহ্নিত করার জন্য জেলাশাসকদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

সরকারি হিসাবে দেখা যাচ্ছে, প্রায় সব জেলাতেই কন্টেইনমেন্ট জোনের সংখ্যা বেড়েছে। কোচবিহার জেলায় একটিও কন্টেইনমেন্ট জোন ছিল না, সেখানেও হয়েছে ২৯টি এফেক্টেড জোন হয়েছে। কোচবিহার
ছাড়া অন্য জেলায় এফেক্টেড জোনের সংখ্যা :

কলকাতা- ৩৫১,

হাওড়া- ৭৬,

দক্ষিণ ২৪ পরগনা- ৩৪,

উত্তর ২৪ পরগনা- ১৪৪,

হুগলি- ২৯,

নদিয়া- ৫৪,

পূর্ব মেদিনীপুর- ১৪,

পশ্চিম মেদিনীপুর- ১৩,

পূর্ব বর্ধমান- ১৯,

পশ্চিম বর্ধমান- ১,

মালদা- ২০,

জলপাইগুড়ি- ২,

কালিম্পং- ২,

দার্জিলিং- ২,

দক্ষিণ দিনাজপুর- ২,

উত্তর দিনাজপুর- ২১,

মুর্শিদাবাদ- ৮,

বাঁকুড়া- ৮,

বীরভূম- ৪০।

সবমিলিয়ে মোট ৮৪৪টি এফেক্টেড জোন হয়েছে বাংলায়। ৩ দিন আগেও ছিলো ৭১৮টি।

এফেক্টেড জোনের পাল্লা দিয়ে বেড়েছে বাফার জোনের সংখ্যাও। সরকারি হিসেবে বলা হয়েছে, বাফার জোনের সংখ্যা:

কলকাতা – ৩৫১,

দক্ষিণ ২৪ পরগনা- ৩৪,

উত্তর ২৪ পরগনা- ১৪৪,

হুগলি- ২৯,

নদিয়া- ৫৪,

পূর্ব মেদিনীপুর- ১৪,

মালদা- ২০,

জলপাইগুড়ি- ১,

দার্জিলিং- ২,

দক্ষিণ দিনাজপুর- ২,

উত্তর দিনাজপুর- ২১,

মুর্শিদাবাদ- ৮,

বাঁকুড়া- ৩,

বীরভূম- ৪০,

কোচবিহার- ২৯।

বাফার জোনের সংখ্যা ছিলো ৩৫৮, তা বেড়ে হয়েছে ৭২৭।

Previous articleইন্দো-চিন সীমান্ত পরিস্থিতি নিয়ে মোদি-ট্রাম্প কথা
Next articleফের রেকর্ড, শেষ ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা আক্রান্ত ৮,৯০৯