বিজেপির রাজ্য নেতারা যদি ভেবে থাকেন লোকসভার ভোটে ১৮টা আসন পেয়েছেন বলে ‘২১-এর বিধানসভা ভোটেও সেই ছায়া পড়বে, তাহলে মূর্খের স্বর্গে বাস করছেন। ওই আসন এসেছিল মোদি হাওয়ায়। মানুষ ভোট দিয়েছিলেন মোদিজিকে দেখে। একুশের ভোটে কিন্তু তা হবে না। তৃণমূলের পাল্টা কি বিজেপিকে মনে করা হচ্ছে? বিজেপিই কি বিকল্প? এই প্রশ্নটা দলের অনুসন্ধান করা উচিত। আর অনুসন্ধান করলেই দেখতে পাবেন আসল চিত্রটা। সম্প্রতি তিন আসনের উপ-নির্বাচন তো সেই কথাটাই আমাদের কানে ধরে শিখিয়ে দিয়ে গেল। কিন্তু আমরা তা শিখতে রাজি নই। দলের সহ সভাপতি পদ থেকে পদচ্যুত হওয়ার পর এই প্রথম “এখন বিশ্ববাংলা সংবাদ”-এর কাছে মুখ খুলে দলের নেতৃত্বের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন নেতাজি পরিবারের সদস্য চন্দ্র বসু।
চন্দ্রর দাবি, মোদিজির হাত ধরে আমি বিজেপিতে এসেছিলাম। আমাকে কথা দেওয়া হয়েছিল, আমি নেতাজির আদর্শেই রাজনীতি করব। অর্থাৎ বৈষম্য নয়, অন্তর্ভুক্তিকরণের রাজনীতি। কিন্তু কোথায় সেই রাজনীতি? ফের দলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ! ধর্ম নিয়ে রাজনীতি বাংলায় হতে পারে না, বাংলার মানুষ মানবে না। মন্দির মসজিদ নিয়ে যারা কথা বলার তারা বলুন। তার জন্য পুরোহিত, মৌলবীরা আছেন। রাজনীতিবিদরা কেন কথা বলবেন? এই করতে গিয়ে দক্ষিণবঙ্গেও আমাদের ধাক্কা খেতে হচ্ছে। বিধানসভাতেও কিন্তু সেই ধাক্কা খাওয়ার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে। ভাগাভাগির রাজনীতি কিন্তু এ বঙ্গে চলবে না। যদিও উত্তরবঙ্গে কিছু সাফল্য এসেছে এভাবে। কিন্তু তা চিরস্থায়ী হবে না।
সহ-সভাপতি পদটা আলঙ্কারিক। সিনিয়র নেতাদের এসব দেওয়া হয়। আসলে ক্ষমতা কার্যত নেই। নেতাজিকে নিয়ে একটা অনুষ্ঠান করতে গেলে আমাকে জেলা কমিটির কাছে হাপিত্যেশ করে বসে থাকতে হয়। স্বাধীন দায়িত্ব বা নেতাজির আদর্শকে প্রতিষ্ঠা করার কাজই যদি না করতে পারলাম তাহলে কেন রাজনীতিতে এলাম? দলের কাছে প্রশ্ন চন্দ্র বসুর।
তাহলে? দলে থেকেই প্রতিবাদ, নাকি অন্য প্ল্যাটফর্ম? চন্দ্রর জবাব, এখনও মোদিজির আদর্শে বিশ্বাস করি, তাই রয়েছি। মোদিজি যে স্লোগান দিচ্ছেন তা রাজ্য নেতৃত্ব বাস্তবায়িত করার চেষ্টাই করছেন না। মানুষের কাছে ভুল বার্তা যাচ্ছে। আর এটা চলতে থাকলে? চন্দ্র রবি ঠাকুরের কথায় জবাব দিলেন, “কে জানে হয়তো ওখানেই তোমার চাওয়া-পাওয়া এক হয়ে মিশে গেছে গঙ্গা-যমুনার জলে!”