ওয়েব সাইটের মাধ্যমে আমফান ক্ষতিগ্রস্তদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রকাশের দাবি বাম-কংগ্রেসের

আমফন ঘূর্ণিঝড়ে বিধ্বস্ত এলাকায় রাজ্যের কোনও মন্ত্রী বা জনপ্রতিনিধি যাননি। কিন্তু যাওয়া উচিত ছিল। আজ, শনিবার তাজ বেঙ্গল হোটেলে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের সঙ্গে দেখা করার পর এমনই মন্তব্য করলেন বাম পরিষদীয় দলনেতা তথা সিপিএম বিধায়ক সুজন চক্রবর্তী। আমফান পরবর্তী সময়ে রাজ্য সরকারের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে তিনি বলেন, অন্যান্য সংগঠন ত্রাণ দিচ্ছে। সাহায্য করছে। কিন্তু রাজ্যের কোনও প্রতিনিধি সেখানে যাননি। রাজ্য সরকার সম্পূর্ণ ব্যর্থ বলে তিনি অভিযোগ করেন।

সুজন চক্রবর্তীর কথায়, “আমাদের যাওয়ার আগে কোনও তৃণমূলের কোনও মন্ত্রী-সাংসদ সাগরদ্বীপ নামখানাতে পা রাখেননি। তারা কোন রাজকার্য করছেন। এই সরকার জনগনের টাকা লুটের সরকার”।

সুর চড়িয়ে সুজনবাবু আরও জানান, করোনার সময় যেমন টেস্ট করার কথা বলা হয়েছিল, তেমন আমফান ক্ষতিগ্রস্ত কেউ যদি টাকা না পেয়ে থাকেন, তবে অভিযোগ জানানোর ব্যবস্থা থাকবে। অর্থাৎ, সিস্টেম যেন ঠিক থাকে। এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের সঙ্গে দেখা করে দাবি জানানো হয়েছে রাজ্যের বরাদ্দ অর্থ রাজ্যকে দেওয়া হোক। কিন্ত কোনও ছুটকো নেতার কাছে যেন সেই টাকা না পৌঁছায়”।

তবে স্বচ্ছতা রাখতে বিজেপির অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠানোর দাবি প্রসঙ্গে সহমত নন তিনি। সুজন বলেন, “অ্যাকাউন্টে সরাসরি টাকা পাঠানোর পক্ষপাতী নই। এটা সমাধান নয়। ১০০ দিনের কাজে যেমন টাকা ভাগাভাগি হয় তেমন টাকা ভাগ হয়ে যাবে। তাই সরকার ওয়েব সাইটে ক্ষতিগ্রস্তদের বিস্তারিত তথ্য জানাক।”

এই প্রসঙ্গে বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নান বলেন, আমফান বিপর্যয়কে জাতীয় বিপর্যয় ঘোষনা করা হোক। যাতে কেন্দ্র ও রাজ্যের পাশাপাশি দেশ-বিদেশের বিভিন্ন NGO আর্থিক সাহায্য করতে পারে। অস্বচ্ছতার প্রশ্নে তিনি বলেন, “বহু দূর পর্যন্ত আমরা ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শনে গিয়ে এলাকাবাসীর অভিযোগের ভিত্তিতে লিস্ট জমা দিয়েছিলাম বিডিওকে। কিন্তু বিডিও আমাদের কথা না শুনে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের দেওয়া লিস্ট অনুযায়ী ত্রাণ বন্টন করছে”। তিনিও সঠিক তথ্য পরিসংখ্যান প্রকাশের ওয়েব সাইটের দাবি জানান বামেদের মতোই।

Previous articleদুর্নীতির অভিযোগে বসিরহাটে অঞ্চল সভাপতির বাড়ি ঘেরাও ভাঙচুর, উত্তেজনা
Next articleজিও-তে প্রায় ৬ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করবে সিলভার লেক পার্টনার্স!