লেকটাউনে তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষে গুরুতর জখম অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি সব্যসাচী দত্তের দেহরক্ষী

করোনা আবহে-আমফান বিপর্যস্ত বাংলা ধীরে ধীরে ছন্দে ফিরছে। অন্য সবকিছুর মতোই স্বাভাবিক হচ্ছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কর্মসূচি। ফের শুরু হয়েছে তর্ক-বিতর্ক। তারই মাঝে হঠাৎ এক অপ্রীতিকর ঘটনা। রাজনৈতিক হিংসা ও হানাহানিও ফিরছে আগের মতোই।

আজ, সোমবার সকালে লেকটাউনে নতুন করে বিজেপি ও তৃণমূলের মধ্যে হাতাহাতি। বিজেপি নেতা সব্যসাচী দত্তকে ধাক্কাধাক্কি। তাঁর দেহরক্ষীকে ব্যাপক মারধর। গাড়ি ভাঙচুর। ইত্যাদি অভিযোগ শাসক দল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। অভিযোগের তির, এই মুহূর্তে করোনা আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রাজ্যের মন্ত্রী সুজিত বসুর অনুগামীদের দিকে।

ঘটনার সূত্রপাত কী? লেকটাউনে এক অসুস্থ বিজেপি কর্মীর বাড়িতে যান সব্যসাচী দত্ত। সঙ্গে ছিলেন বিজেপির জেলা সভাপতি কিশোর কর এবং বিজেপি নেতা পীযূষ কানোরিয়া। সেই সময় ওই এলাকায় স্থানীয় তৃণমূল কর্মীদের পক্ষ থেকে মাস্ক বিলি করা হচ্ছিল। বিজেপির নেতা-কর্মীদের দেখে তৃণমূল কর্মীরা কুরুচিকর মন্তব্য করে বলে অভিযোগ। আচমকা বিজেপি নেতা-কর্মীদের উপর হামলা চালায় তৃণমূল কর্মীরা, এমনটাই অভিযোগ বিজেপির।

কিছুক্ষণের মধ্যেই সব্যসাচী দত্তের উপস্থিতিতে বিজেপি এবং তৃণমূল কর্মীদের মধ্যে হাতাহাতি বেঁধে যায়। বিজেপি নেতা সব্যসাচী দত্তকে ধাক্কাধাক্কি এবং হেনস্থা করা হয় বলে অভিযোগ। তাঁর দেহরক্ষীকে মারধর করা হয়। তাঁর গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। এই ঘটনায় বিজেপি এবং তৃণমূলের বেশ কয়েকজন কর্মী আহত হয়েছে। তাদের স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে। সব্যসাচী দত্তর দেহরক্ষী গুরুতর আহত হয়েছেন বলে জানা যায়। তাঁকে জখম অবস্থায় সল্টলেকের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় লেকটাউন থানার পুলিশ। দুই পক্ষই লেকটাউন থানায় একে অপরের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। বিজেপির আবার পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে বলে, তারা নাকি দর্শকের ভূমিকায় ছিলেন।

Previous articleঅনুব্রত ঠান্ডা হয়ে যাবে এক ওষুধেই! কী দাওয়াই সাংসদ সৌমিত্রর
Next articleমুখ্যমন্ত্রীকে ৭দফা দাবি জানিয়ে দিলীপের চিঠি