১৩ টি বেওয়ারিশ লাশের নিয়ে সকাল সকাল উত্তেজনা গড়িয়া শ্মশানে। স্থানীয় সূত্রে খবর, গাড়ি করে ১৩ টি আনক্লেমড বডি পোড়ানোর জন্য সেখানে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু দেহগুলি দাহ করতে বাধা দেন স্থানীয়রা। তাঁদের সঙ্গে ছিলেন ডিওয়াইএফআই সদস্যরাও। তাঁদের অভিযোগ, করোনায় মৃত কি না সে বিষয়ে নিশ্চিত তথ্য-প্রমাণ না পাওয়া পর্যন্ত দেহগুলি গড়িয়া শ্মশানে দাহ করতে দেওয়া হবে না। একসঙ্গে এতগুলো লাশ এলো কোথা থেকে তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তাঁরা।
এই নিয়ে বেশ কিছুক্ষণ টানাপোড়েন চলে। গাড়ি থেকে দেহগুলি নামিয়ে শ্মশানের ভিতরে নিয়ে যান কর্মীরা। কিন্তু স্থানীয়দের বিক্ষোভের জেরে সেগুলি আবার গাড়িতে ফিরিয়ে আনতে বাধ্য হন তাঁরা। এরপরে উত্তেজনা বাড়তে থাকায় তেরোটি বেওয়ারিশ লাশ গাড়িতে চাপিয়ে ফের ফিরে যান পুরসভার কর্মীরা। এর মধ্যে এক পুরসভার কর্মীকে বলতে শোনা যায়, যিনিই নির্দেশ দিন না কেন, জনতার বিক্ষোভের মাঝে তাঁরা দেহ সৎকার করতে পারবেন না।
কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে করোনার জিগির তুলে যদি এভাবে দেহ সৎকারে বাধা দেওয়া হয়, তাহলে সৎকার হবে কী করে? সব মৃত্যুই তো আর করোনা সংক্রমণের কারণে হচ্ছে না। সেক্ষেত্রে দাহ করতে বাধা দান কতটা যুক্তিযুক্ত? তবে বিক্ষোভকারীদের তরফ থেকে বাঁশদ্রোণী থানায় বিক্ষোভ দেখানো ও স্মারকলিপি জমা দেওয়া হচ্ছে।