এই মুহুর্তে প্যারোলে সংশোধনাগারের বাইরে রয়েছেন বৌবাজার বিস্ফোরণ কাণ্ডের মূল চক্রী, এক সময়ের সাট্টা ডন রশিদ খান। বাইরে থাকলেও কলকাতা পুলিশ, রাজ্য পুলিশ এবং একাধিক কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার ২৪ ঘন্টার কড়া নজরদারি চলছে তাঁর উপরে৷
১৯৯৩ সালের ১৬ মার্চ লালবাজারের কাছে বৌবাজার এলাকায় ঘটে যাওয়া এক ভয়াবহ বিস্ফোরণে ৬৯ জনের মৃত্যু হয়েছিল। এই ঘটনার সঙ্গে সরাসরি জড়িত ছিলেন রশিদ খান। তাঁকে গ্রেফতার ও টাডা আইনে বিচারের পর ২০০১ সালে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয় রশিদ সহ মোট ৬ জনের।
করোনা সংক্রমণ শুরুর পর ন্যূনতম ১০ বছর সাজা খাটা বন্দিদের প্যারোলে মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। সেই সিদ্ধান্তেই ২৬ বছর পর গত ১৭ এপ্রিল ৩ মাসের প্যারোলে মুক্তি পেয়েছে রশিদ। রশিদ এখন কোথায় রয়েছে, নিরাপত্তার স্বার্থে তা গোপন রাখা হয়েছে৷
কিন্তু বৃদ্ধ রশিদ খানের উপর আজও এত কড়া নজরদারি কেন ? নতুন কোনও নাশকতার ঘটনায় যুক্ত এই রশিদ?
না, তা নয়৷ অন্য এক বিশেষ কারণে গোয়েন্দারা ফাঁদ পেতেছে রশিদকে ঘিরে৷ জানা গিয়েছে, বৌবাজার বিস্ফোরণ কাণ্ডের ২৭ বছর কেটে গেলেও খোঁজ মেলেনি গুরুত্বপূর্ণ ২ অভিযুক্ত পারভেজ এবং ইমতিয়াজের৷ এক সময়ে রশিদের এই দুই ঘনিষ্ঠ সহযোগী যদি ফের কোনওভাবে রশিদের সঙ্গে যোগাযোগ করে, তাহলে তাদের পাকড়াও করা যাবে৷ এ কারনেই চলছে ২৪ ঘন্টার নজরদারি ৷ গোয়েন্দা সূত্রের খবর, বৌবাজার বিস্ফোরণের যে ২ অভিযুক্ত এখনও ফেরার, তাদের মধ্যে একজন রশিদের নিকটাত্মীয়।