পরিবেশের গুরুত্বকে অবজ্ঞা, কেরলে জলবিদ্যুৎকেন্দ্র চালুর সিদ্ধান্ত পিনারাই বিজয়নের

পরিবেশপ্রেমী থেকে বিরোধী দলের নেতারা নিষেধ করেছিলেন। এমনকী নিজের দলের সাংসদরা বারবার সতর্ক করেছিলেন। কিন্তু কর্ণপাত করলেন না কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন। বিতর্কিত আথিরাপিল্লি জলবিদ্যুৎকেন্দ্র চালু করার ছাড়পত্র দিলেন মুখ্যমন্ত্রী।

ত্রিশূর জেলার নদী অববাহিকায় রয়েছে কেন্দ্রটি। পরিবেশবিদরা সংশ্লিষ্ট অঞ্চলকে সংবেদনশীল বলে জানিয়েছিলেন। রাজ্য বিদ্যুৎ পর্ষদ এই প্রকল্প চালু করার অনুমতি চেয়ে রাজ্য সরকারকে চিঠি দেয়। গত সপ্তাহে সরকার আগামী সাত বছরের জন্য প্রকল্প চালু রাখার সম্মতি জানিয়েছে। সরকারের এই সিদ্ধান্তের তীব্র প্রতিবাদ করেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় পরিবেশ মন্ত্রী জয়রাম রমেশ, কেরল বিধানসভার বিরোধী নেতা রমেশ চেন্নিথালা এবং সিপিআই–এরই রাজ্যসভার সাংসদ বিনয় বিশ্বম।

জয়রাম রমেশের স্পষ্ট বক্তব্য, সরকারি সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার না করলে বিক্ষোভে নামবে সাধারণ মানুষ। এ প্রসঙ্গে গত শতাব্দীর সাতের দশকের কথা তুলে ধরেছেন তিনি। পালাক্কড়ের চিরহরিৎ বনভূমি সাইলেন্ট ভ্যালি বাঁচাতে রাস্তায় নেমেছিল জনগণ। তিনি উল্লেখ করেন, ২০১০ সালে ইউপিএ সরকারের আমলে পরিবেশমন্ত্রী থাকাকালীন পরিবেশবিদদের সঙ্গে আলোচনা করে এই প্রকল্প বন্ধ করে দেন।

শুধুমাত্র বিরোধী নেতারা নন। পিনরাই বিজয়নের এই সিদ্ধান্ত মেনে নিতে পারছেন না বাম নেতারা। বিনয় বিশ্বম বলেন, এই প্রকল্প হলে ১৬৮ হেক্টর বনভূমি জলের নীচে চলে যাবে। যার জেরে বহু বন্যপ্রাণ সহ বনভূমি ক্ষতিগ্রস্থ হবে। ওই অঞ্চলে বসবাসকারী দুই জাতের আদিবাসীদের সংকটের মুখে পড়তে হবে।

Previous articleজুনিয়র ডাক্তারদের বিক্ষোভে উত্তপ্ত সাগর দত্ত হাসপাতাল
Next articleভারতের ৮০ শতাংশ মানুষ করোনার জেরে লকডাউনে বেতনে কাটছাঁটের শিকার