করোনা চিকিৎসায় নতুন আলো দেখালেন শিকাগোর এক ভারতীয় বংশোদ্ভূত সার্জেন

করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসায় নতুন আলো দেখালেন আমেরিকায় এক ভারতীয় বংশোদ্ভূত চিকিত্‍সক৷

মার্কিন মুলুকের শিকাগোর নর্থওয়েস্টার্নের ফুসফুস প্রতিস্থাপন প্রোগ্রামের থোরাসিক সার্জারি বিভাগের প্রধান এবং সার্জিকাল ডিরেক্টর ডাঃ অঙ্কিত ভারতের নেতৃত্বে সফলভাবে ফুসফুস প্রতিস্থাপিত হয়েছে করোনা আক্রান্ত এক তরুণীর। করোনা সংক্রমণে তাঁর ফুসফুস এতটাই ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পড়েছিল যে তা প্রতিস্থাপন করার পরামর্শ দিয়েছিলেন একদল চিকিৎসক ৷ করোনা অতিমারি শুরু হওয়ার পর এই ধরনের বড়মাপের ঝুঁকিপূর্ণ অস্ত্রোপচার আমেরিকায় এই প্রথম।

শিকাগোর নর্থওয়েস্টার্ন মেডিসিনের তরফে সংবাদমাধ্যমে জানানো হয়েছে, করোনা আক্রান্ত ওই গ্রহীতা-তরুণীর বয়স ২০-র কোঠায়। ফুসফুস প্রতিস্থাপন না করলে বাঁচানো যেত না ওই তরুণীকে। অপারেশনের পর আপাতত তাঁকে ইনটেনসিভ কেয়ারে রাখা হয়েছে। গত দু’মাস ধরেই তাঁকে ফুসফুস এবং হার্ট অ্যাসিসটেন্সে রাখা হয়েছে। শুক্রবার এই খবর প্রকাশিত হয়েছে দ্য ওয়াশিংটন পোস্টে।

নর্থওয়েস্টার্নের ফুসফুস প্রতিস্থাপন প্রোগ্রামের থোরাসিক সার্জারির প্রধান এবং সার্জিকাল ডিরেক্টর ডা. অঙ্কিত ভারত জানিয়েছেন ক্রিটিকাল করোনা রোগীদের ক্ষেত্রে আগামীদিনে এ ধরনের অঙ্গ প্রতিস্থাপন করোনা চিকিত্‍সার অঙ্গ হয়ে উঠতে চলেছে। এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, “সার্জেন হিসেবে এতদিন পর্যন্ত যত অপারেশন করেছি, করোনা আক্রান্ত এই তরুণীর ফুসফুস প্রতিস্থাপন করা ছিল সব থেকে কঠিন চ্যালেঞ্জ৷ অঙ্গ প্রতিস্থাপন না করলে বাঁচানো যাবে না, এমন রোগীর সংখ্যা অনেকটাই বাড়বে আগামীদিনে।” তিনি বলেন, “করোনা ভাইরাসে সব থেকে বেশি ক্ষতি ফুসফুসের হলেও কিডনি, হার্ট, ব্লাড ভেসলস এবং স্নায়ুরও চরম ক্ষতি করতে পারে। ওই তরুনীর সঙ্গে মেলে এমন ব্রেন-ডেড ফুসফুস দাতার খোঁজ পেতে দু’দিন অপেক্ষা করতে হয়েছিল।

তবে বিশ্বে এটাই প্রথম এমন প্রতিস্থাপন নয়। গত ২৬ মে করোনা রোগীর প্রাণ বাঁচাতে প্রথম ফুসফুস প্রতিস্থাপন করেছিলেন অস্ট্রিয়ার একদল সার্জেন।

Previous articleজৌলুস কমছে এবারের আন্তর্জাতিক কলকাতা চলচ্চিত্র উৎসবের
Next articleডাক্তারি পাশ করা IAS, IPS-রা এবার চিকিৎসা পরিষেবায়, নতুন সিদ্ধান্ত কেন্দ্রের