বড়বাজারে নৃশংস শিশু খুনী শিবরাম বলেছিল : তুমাহারা বাচ্চে কো উপার সে ফেক দেঙ্গে!

বড়বাজারে নৃশংসভাবে শিশু খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত শিবকুমার গুপ্তাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ঘটনাকে কেন্দ্র করে শুরু হয়েছে চাঞ্চল্য। কেন এই নৃশংস, অমানবিক কাণ্ড? শিবকুমার স্বার্থপর দৈত্য নাকি মানসিক রোগগ্রস্ত, সে নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছে।

জানা গিয়েছে শিবকুমারের ব্যবসায় ডামাডোল চলছিল। মূলত লকডাউনের কারণেই ব্যবসায় মন্দা। সেই সঙ্গে ছিল চড়া মেজাজ। গাড়িচালক বিক্রমের পুত্রকেই বারান্দা থেকে ছুড়ে ফেলে দিয়েছিল শিবকুমার। সেই বিক্রম বলছেন, তার সঙ্গে কোনওরকমের শত্রুতা ছিল না। শিবকুমারের ব্যবসা ছিল, আর তিনি গাড়ি চালাতেন। ওই বাড়ির অন্য বাসিন্দারা জানাচ্ছেন, বাচ্চারা সেখানে খেলাধুলা করত। মাঝেমধ্যে শিবকুমারের ঘরে ঢুকে যেত। নোংরা করত। এতে বিরক্ত হতো সে। একবার বিক্রমকে ডেকে বলেছিল, বাচ্চা লোগো কো হটাও, নেহিতো উপার সে ফেক দেঙ্গে। কিন্তু সেটাই যে সত্যি হবে কেউ কল্পনাতে ভাবতে পারেননি।

বড়বাজারে নেতাজি সুভাষ রোডের পাঁচতলার বাড়িতে যারা প্রত্যক্ষদর্শী তাদেরই একজন জানিয়েছেন, দেখলাম দু’বছরের বাচ্চাটাকে ধরে ছুড়ে ফেলল। কারনিসে ধাক্কা খেয়ে ছেলেটি মুখ থুবড়ে পড়ল রাস্তায়। রক্তে ভেসে যাচ্ছে। নিঃশ্বাস নিচ্ছিল। মনে হলো বেঁচে আছে। সবাই ছুটে গেলাম কিন্তু হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার আগে শেষ। কিছু বোঝার আগেই পাঁচ বছরের আর একটি বাচ্চাকে তুলে সে নীচে ফেলে কিন্তু তারে আর কার্নিশে লেগে সে কোনওরকমে আটকে যায়। কিন্তু তার পা ভেঙে গিয়েছে। এনআরএসে চিকিৎসা চলছে। এই সময় আশপাশের লোকজন চেঁচামেচি শুরু করে। কিন্তু ততক্ষণে তৃতীয় আর একটি সাত বছরের বাচ্চাকে শিবকুমার তুলে নেয় ছোড়ার জন্য। কিন্তু সেই বাচ্চাটি বারান্দার রেলিং ধরে ফেলায় শিবকুমার তাকে ফেলতে পারেনি। ততক্ষণে আশপাশের লোকজন ছুটে এসে তাকে ধরে ফেলেছে।

Previous article৪০০ সরকারি বাস পথে, স্বস্তিতে যাত্রীরা
Next articleনিষেধাজ্ঞা মেনে আজ খুলল বেলুড় মঠ