রাজ্যের মুকুটে নয়া পালক: গণপরিবহনে আন্তর্জাতিক সম্মান

করোনা, লকডাউন, আমফান- সব পরিস্থিতি নিয়েই বিরোধীদের সমালোচনার মুখে পড়তে হচ্ছে রাজ্য সরকারকে। তবে এইসব সমালোচনার জবাব হিসেবে ভালো কাজের জন্য আন্তর্জাতিক স্তরের পুরস্কার পেল বাংলা। কোন শহরে বৈদ্যুতিক বাস কতটা চলে আর তা গণপরিবহণ হিসাবে কতখানি সফল- সে বিষয়ে বিশ্বজুড়ে একটি সমীক্ষা চালিয়েছিল ফ্রান্সের দ্য ইন্টারন্যাশনাল এনার্জি এজেন্সি বা আইইএ। সমীক্ষার রিপোর্টেই দেখা যাচ্ছে কলকাতাতেই সব থেকে বেশি চলে বৈদ্যুতিক বাস। গণমাধ্যম হিসাবেও খুবই সফল। এর জেরেই ওই ফরাসী সংস্থা গ্লোবাল ইলেকট্রিক ভেহিক্যাল আউটলুক প্রদর্শনী বা জিভো ২০২০-তে কলকাতাকে রোল মডেল হিসাবে তুলে ধরতে চলেছে। এই সম্মান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নমূলক কাজের আন্তর্জাতিক মানের স্বীকৃতি।

বিশ্বউষ্ণায়নের জেরে এখন বিভিন্ন দেশই বিকল্প গণপরিবহণের মাধ্যম খুঁজছে। এই পরিকল্পনা থেকেই বৈদ্যতিক বা ইলেক্ট্রিক বাসের উদ্ভাবন। ইতিমধ্যেই বিশ্বের অনেক বড় বড় শহর- লন্ডন, প্যারিস, নিউইয়র্ক, মস্কো, টোকিয়ো, বেজিং, হেলসিংকি এমনকী সিডনিতেও এই বাস চলাচল করছে। এই সব শহরকে নিয়ে সমীক্ষা চালিয়ে দেখা গিয়েছে কলকাতার মতো গণমাধ্যম হিসাবে বৈদ্যুতিক বাস অন্য কোনও শহরে এত বেশি ও সফলভাবে ব্যবহার হয় না।
মহানগরীর দূষণ কমাতে মুখ্যমন্ত্রীর উদ্যোগে এখন প্রচুর ইলেক্ট্রিক এসি বাস চলছে। যাত্রীরাও এই বাস সফর পছন্দ করছেন। এবার এই আন্তর্জাতিক সম্মান কলকাতার মুকুটে নয়া পালক জুড়ে দিল।

Previous articleআজ প্রধানমন্ত্রী-মুখ্যমন্ত্রী বৈঠক শুরু, কাল বৈঠকে মমতা না কোনও আধিকারিক?
Next articleভারতে করোনা: মৃত‍্যু দশ হাজার ছোঁয়ার মুখে, তবে সুস্থ হওয়ার হার আরও বেড়ে ৫২.৫ শতাংশ