লাদাখ পরিস্থিতির পদক্ষেপ নিয়ে তিন বাহিনীর প্রধানের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক প্রধানমন্ত্রী-প্রতিরক্ষামন্ত্রীর

করোনায় কোণঠাসা চিন লাদাখ সীমান্তে আগ্রাসন শুরু করেছে। মঙ্গলবার এই বিবাদ চরমে গিয়ে পৌঁছায় । চিনা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে ভারতের প্রায় ১৭ জওয়ান শহিদ হয়েছেন। এই নিয়ে রীতিমতো ফুঁসছে ভারত। পাল্টা প্রতিশোধ নিয়েছে ভারতীয় সেনাও। ভারতীয় বাহিনীর হাতে খতম ৪৩ জন চিনা ফৌজ। এই নিয়ে তুমুল উত্তেজনা শুরু হয়েছে দুই দেশের মধ্যে।
ঠিক কী ধরনের সংঘর্ষ লাদাখে হয়েছে, তা এখনও স্পষ্ট নয়৷ তবে সূত্রের খবর, দুই বাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষে কোনও আগ্নেয়াস্ত্রের ব্যবহার হয়নি৷ সংক্ষিপ্ত বিবৃতিতে সেনাবাহিনীর তরফে জানানো হয়েছে, ‘গালওয়ান উপত্যকায় উত্তেজনা প্রশমনের প্রক্রিয়া চলাকালীনই দু’ তরফে হিংসাত্মক সংঘর্ষ শুরু হয়৷
পরিস্থিতি নিয়ে বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সঙ্গে রুদ্ধ দ্বার বৈঠক করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
লাদাখ সীমান্তে কী পরিস্থিতি রয়েছে তা নিয়ে বিস্তারিত বিবরণ চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। সেই বৈঠকে রয়েছেন সেনা প্রধান এমএম নারাভানে এবং চিফ ডিফেন্স স্টাফ বিপিন রাওয়তও।
প্রধানমন্ত্রীর কাছে বিস্তারিত বিবরণ দেওয়ার আগে কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের বাসভবনে দীর্ঘক্ষণ বৈঠক করেেছন বিদেশমন্ত্রী। সেখানেও সেনাপ্রধান এমএম নারাভানে এবং চিফ ডিফেন্স স্টাফ বিপিন রাওয়াতের সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ বৈঠক করেছেন।

সেখানেও লাদাখ পরিস্থিতি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। সীমান্তের উত্তেজনা, পরবর্তী কূটনৈতিক পদক্ষেপ, সেনাবাহিনীর অবস্থান ইত্যাদি নিয়ে দীর্ঘক্ষণ আলোচনা করেন তাঁরা।
কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং বলেছেন, যেভাবে গালওয়ানে ভারতীয় সেনার মৃত্যু হয়েছে তা অত্যন্ত দুঃখের, এই সেনা জওয়ানদের বীরত্ব ও আত্মবলিদানকে কখনোই ভুলবে না দেশ ।

Previous articleসরকারি চাকরির পরীক্ষার্থীদের জন্য কী বলবেন শমিত রায়?
Next articleআনলক-ওয়ানেও ফেরেনি কাঁসার জৌলুস