লাদাখে আহত ৭৬ জন ভারতীয় সেনার অবস্থা অনেকটাই স্থিতিশীল

গালওয়ান উপত্যকায় চিন সেনার সঙ্গে সংঘর্ষে প্রাণ দিতে হয়েছে ২০ জন ভারতীয় জওয়ানকে৷ জানা গিয়েছে, ভারতীয় সেনা’র আরও ৭৬ জন জওয়ান হাসপাতালে চিকিৎসাধীন৷ ভারতীয় সেনা আধিকারিকরাই এনডিটিভি-কে জানিয়েছেন একথা। তবে আশার কথাও বলেছেন৷ ওই আহত জওয়ানদের শারীরিক অবস্থা অনেকটাই স্থিতিশীল এখন। সোমবারের সীমান্ত সংঘর্ষে আহত সেনাদের ১৮ জন লে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন৷ বাকি ৫৮ জনের চিকিৎসা চলছে অন্যান্য সেনা হাসপাতালে। সেনা আধিকারিকরা বলেছেন,

আহত সেনারা যেভাবে দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠছেন তাতে আশা করা হচ্ছে যে, আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে তাঁরা কাজে যোগ দিতে পারবেন৷

গালওয়ানে চিনা সেনাদের সঙ্গে ভারতীয় সেনাদের সংঘর্ষ প্রসঙ্গে সেনা আধিকারিকরা বলেছেন, কিছুদিন ধরেই ভারত-চিন সীমান্তে দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা দানা বাঁধছিল। সীমান্তের সেই উত্তপ্ত পরিস্থিতি প্রশমিত করতেই একাধিক বৈঠক করে ভারত ও চিন। গত ৬ জুনের সামরিক স্তরের বৈঠকের পর অধিগৃহীত জমি থেকে ধীরে ধীরে সরে যাওয়ার কথা ছিল চিন সেনার৷ সেই কাজ খতিয়ে দেখতে শহিদ কর্নেল বিএল সন্তোষ বাবুর নেতৃত্বে এলাকা পরিদর্শনে বেরোয় ভারতীয় বাহিনী। তাঁর সঙ্গে ছিল প্রায় ১০০ জন জওয়ান। এর পরেই তাঁরা ১৫,০০০ ফুট উচ্চতায় গালোয়ান উপত্যকা এলাকা গিয়ে দেখে সরে যাওয়া তো দূরের কথা, সেখানে দিব্যি নিজেদের তাঁবুতে ঘাঁটি গেড়ে বসে লালফৌজ। শহিদ কর্নেল বিএল সন্তোষ বাবুর নেতৃত্বে ভারতীয় জওয়ানরা লালফৌজকে তাঁবু থেকে বের করে সেই তাঁবু ভাঙতে শুরু করে ভারতীয় বাহিনী। আগুনও ধরিয়ে দেওয়া হয় কিছু তাঁবুতে। এতেই বিপদ বুঝে কাঠের তক্তা, লোহার রড, কাটা তার জড়ানো বাটাম নিয়ে আরও চিনাফৌজ জড়ো হয় গালোয়ান এলাকায় । শুরু হয় দু’পক্ষের হাতাহাতি ও সংঘর্ষ। ওদিকে সংবাদসংস্থা জানিয়েছে যে, ক্ষতি এড়াতে পারেনি চিনও। ওই সংঘর্ষে চিনের হতাহত কমপক্ষে ৪৫ জন জওয়ান। যদিও চিনের সেনা সূত্র থেকে এব্যাপারে কোনও নিশ্চিত বিবৃতি মেলেনি।

Previous articleবাড়িতে বসেই এক ক্লিকেই পাবেন দেশ-বিদেশের পছন্দের জিনিস ! আসছে ইন্দো বাংলা বাজার
Next articleনজর তিন রাজ্যে, কী হবে গুজরাটে?