বীরভূমে চোখের জলে শেষ বিদায় শহিদ রাজেশকে

স্থানীয় বাসিন্দাদের চোখের জলে শেষ বিদায় শহিদ রাজেশ ওরাওঁকে। বৃহস্পতিবার রাতে পানাগড় সেনা ছাউনি হয়ে রাজেশের কফিন বন্দি দেহ শুক্রবার সকালে সেনাবাহিনীর কনভয় বীরভূমের মহম্মদ বাজারের বেলগড়িয়া গ্রামে আসে। বরাবরের প্রাণচঞ্চল, সদা হাস্যময়, পরোপকারী রাজেশ নিজের গ্রামে এলেন কয়েকজন সেনা জ‌ওয়ানের কাঁধে চেপে। শেষ বেলায় পারিবারিক ভূমিতে পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দেহ সমাধিস্থ করা হল। পাশাপাশি রাজ্য এবং কেন্দ্র সরকারের পক্ষ থেকে মন্ত্রী, বিধায়ক, সাংসদ, শেষকৃত্যে উপস্থিত ছিলেন। রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে আর্থিক সাহায্য পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়। এছাড়া তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে দলীয় ভাবে পরিবারকে সাহায্য করা হয় এদিন।

শহিদের দেহ গ্রামে আসার পরে প্রথমে স্থানীয় খেলার মাঠে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে উপস্থিত বিজেপির তিন সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়, খগেন মুর্মু এবং সৌমিত্র খাঁ, তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে মন্ত্রী আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়, চন্দ্রনাথ সিনহা এবং বিধায়ক মইনুদ্দিন শামস, নীলাবতী সাহা, কংগ্রেস সাংসদ অধীররঞ্জন চৌধুরী, জেলা পুলিশ ও প্রশাসনের কর্তারা সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিরা পুষ্পস্তবক দিয়ে শেষ শ্রদ্ধা জানান। সেখান থেকে রাজেশের দেহ বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়। দেহ উঠোনে রেখে পারিবারিক রীতিমেনে শেষকৃত্য হয়। সেখান থেকে দেহ পারিবারিক ভূমিতে নিয়ে আসা হয়। মুখাগ্নি করার সময় রাজ্য পুলিশের পক্ষ থেকে গান স্যালুট জানানো হয়। শেষে সেনাবাহিনীর স্যালুটের মাধ্যমে শহিদ রাজেশের শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়। সঙ্গে সঙ্গেই শেষ হয়ে যায় ছেলেকে নিয়ে দেখা পরিবারের লোকজনদের স্বপ্ন। পরিকল্পনা ছিল, ছুটিতে এসে বাড়ির কাজ শেষ করবেন, তারপরেই বাগদত্তার সঙ্গে বিয়ের পর্ব সম্পন্ন হবে। কিন্তু হল না কিছুই।

Previous articleক্ষতিপূরণের তালিকা নিয়ে বিজেপি-তৃণমূল সংঘর্ষ, জখম ৪
Next articleলাদাখ পরিস্থিতির জেরে অযোধ্যায় রামমন্দির নির্মাণের সূচনা স্থগিত