করোনার উপর সূর্যগ্রহণের প্রভাব কী? জানালেন রাজজ্যোতিষী অনিমেষ শাস্ত্রী?

অতিমারি নিয়ে শঙ্কিত সারাবিশ্ব। মুক্তির উপায় খুঁজছেন সবাই। গবেষণাগারে দিনরাত পরীক্ষা চালাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা- একটা ভ্যাকসিন বা একটা ওষুধ আবিষ্কারের জন্য। এর মধ্যে অনেকে অজানা ভবিষ্যৎ জানতে দ্বারস্থ হচ্ছেন জ্যোতিষীদের। এই পরিস্থিতিতে রবিবার সূর্যগ্রহণ; সঙ্গে অমাবস্যা। সূর্যগ্রহণ অমাবস্যা তিথিতেই হয়। রবিবার সকাল 9টা 16 মিনিটে গ্রহণ শুরু হয়ে বিকেল 4টে 3 মিনিটে শেষ হবে। *2018 পরে এত বড় সূর্যগ্রহণ এই প্রথম* । এর মধ্যেই গুজব ছড়িয়েছে এই গ্রহণ এর প্রভাবে নাকি করোনা ভাইরাস মুক্ত হবে পৃথিবী। তবে এই দাবি মানতে নারাজ রাজজ্যোতিষী পণ্ডিত অনিমেষ শাস্ত্রী। ‘এখন বিশ্ব বাংলা সংবাদ’ কে তিনি জানান, *করোনার উপর সূর্যগ্রহণের প্রভাব নিয়ে গুজব রটনা হচ্ছে* । গুজবে কান দেবেন না। জ্যোতিষশাস্ত্র অনুযায়ী, সূর্যগ্রহণের প্রভাবে ভাইরাস ধ্বংস হওয়ার কোনও সম্ভাবনা নেই। এটা কিছু লোক না জেনে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে। অনিমেষ শাস্ত্রী বলেন, *সূর্যগ্রহণের সময় ঘরে থাকতে বলা হয়। খাবার ঢেকে রাখতে বলা হয়। না ঢাকা খাবার ফেলে দিতে বলা হয়। বহু যুগ ধরে ভারতে এই আচার মেনে চলা হচ্ছে* । কারণ, রাজজ্যোতিষীর মতে, *গ্রহণের সময় ব্যাকটেরিয়াগুলি বেশি সক্রিয় থাকে* । সূর্যের আলো না থাকলে ব্যাকটেরিয়াগুলি মাটির কাছাকাছি চলে আসে। সে কারণে মানবদেহে সংক্রমণের সম্ভাবনা বেশি। অনিমেষ শাস্ত্রী বলেন এই কারণেই দিনেরবেলার থেকে রাতে ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ বেশি হয়। সেক্ষেত্রে যেখানে ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়া সক্রিয় হতে পারে সেই সূর্যগ্রহণের প্রভাবে কী করে কোভিড 19 ভাইরাস ধ্বংস হতে পারে? এটা একেবারেই একটি বিভ্রান্তিমূলক তথ্য। এ বিষয়ে গুজব ছড়ানো হচ্ছে।

তিনি বলেন, গ্রহণ একটি মহাজাগতিক ঘটনা। রাহু-কেতু নিয়ে যা কথা বলা হয় সেগুলি গল্প।
অনিমেষ শাস্ত্রী মতে, সূর্যগ্রহণের মধ্যে জন্ম হলে রবির প্রভাব খারাপ হয়।

আর কী কী বলেছেন তিনি? জানতে ক্লিক করুন:

Previous articleফের করোনা আক্রান্তে দেশে একদিনে সর্বাধিকের রেকর্ড, সংখ্যা চোখ কপালে তুলবে!
Next articleভারতে করোনা: ২৪ ঘণ্টায় রেকর্ড আক্রান্ত, তবে সুস্থতার হারও বেড়ে প্রায় ৫৪ শতাংশ