ভারতের সঙ্গে সংঘাতে যাওয়ায় চিনের কমিউনিস্ট পার্টিকে জোচ্চোর ও দুর্বৃত্ত বলে আক্রমণ আমেরিকার

ভারত-চিন সীমান্ত সংঘাত ইস্যুতে দিল্লির পাশে থেকে বেজিংকে ধুয়ে দিল আমেরিকা।
লাদাখ সীমান্তে ভারতের সঙ্গে উত্তেজনা বৃদ্ধির জন্য চিনই দায়ী বলে তাদের তীব্র সমালোচনা করল মার্কিন প্রশাসন। এই প্রসঙ্গে চিনের কমিউনিস্ট পার্টিকে অসৎ, জোচ্চোর ও দুর্বৃত্ত বলে মন্তব্য করেছে অামেরিকা।
মার্কিন বিদেশ সচিব মাইক পম্পেও কড়া ভাষায় বলেন, চিন নিজের ইচ্ছেমত নতুন নিয়ম কায়েম করতে চায়। তাই এতদিন মুক্ত বিশ্ব ন্যাটোর মত প্রতিষ্ঠানকেও শেষ করতে চাইছে। চিনা ফৌজ পৃথিবীর বৃহত্তম গণতন্ত্রের সঙ্গে সীমান্ত উত্তেজনা বাড়িয়েছে। দক্ষিণ চিন সাগরেও সামরিক থাবা বসিয়েছে তারা। তাদের আগ্রাসনের ফলে গুরুত্বপূর্ণ সমুদ্রপথেও বিপদ তৈরি হয়েছে। চিন এত আগ্রাসী ও বেপরোয়া যে আরও ভূখণ্ডের অধিকার নিতে চায়।

সোমবার লাদাখ সীমান্তের গলওয়ান উপত্যকায় চিনের ফৌজের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘাতে ভারতের ২০ জন সেনার মৃত্যু হয়েছে। এই ঘটনায় আগেই শোকপ্রকাশ করেছেন মার্কিন বিদেশ সচিব। শুক্রবার কোপেনহেগেনের গণতন্ত্র শীর্ষ সম্মেলনে ভার্চুয়াল বক্তৃতা দেন মাইক পম্পেও । যে আলোচনার বিষয় ছিল ‘ইউরোপ এবং চিন চ্যালেঞ্জ’। বক্তৃতায় মার্কিন প্রশাসনের শীর্ষ কূটনীতিক বলেন, বহু বছর ধরে পশ্চিমি দুনিয়া আশা করছিল যে চিনা কমিউনিস্ট পার্টিতে বদল আসবে। চিনের মানুষের জীবনযাত্রার মান বাড়বে। কিন্তু চিনা কমিউনিস্ট পার্টি কথায় আর কাজে আলাদা। মার্কিন বিদেশ সচিব বলেন, প্রতিবেশী দেশগুলির সঙ্গে চিনা কমিউনিস্ট পার্টি শুধু যে দুর্বৃত্তের মত আচরণ করছে তাই নয়, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়েও গোটা বিশ্বকে লাগাতার মিথ্যা কথা বলে চলেছে। ওদের জন্যই দুনিয়ার লক্ষ লক্ষ মানুষ আজ মারা যাচ্ছে। ছমাস হয়ে গেলেও ভাইরাসের স্যাম্পেল দিতে চাইছে না, তদন্তের জন্য উহানে ঢুকতে দিতে চাইছে না শি জিনপিং প্রশাসন। পম্পেও বলেন, চিনের কমিউনিস্ট পার্টি হংকংয়ে নিপীড়ন চালাচ্ছে, দেশের মুসলিম জনগোষ্ঠীর উপর অত্যাচার নামিয়ে এনেছে, রাষ্ট্রসংঘের নিয়মকানুনের তোয়াক্কা করছে না, এখন অাবার ভারতের সীমান্তে অস্থিরতা তৈরি করছে। চিনা কমিউনিস্ট পার্টির কুকর্মের কথা বলতে গেলে সারা দিন কাবার হয়ে যাবে।

Previous articleবঙ্গ-বিজেপির একাধিক নেতার কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা ফেরত নেওয়া হচ্ছে
Next articleলাদাখে শহিদ কর্নেল সন্তোষ বাবুর পরিবারকে ৫ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ, সরকারি চাকরি, জমি দিচ্ছে তেলেঙ্গানা সরকার