রইল মহামারির দাপট, আবারও ভুল প্রমাণিত হলো মায়া ক্যালেন্ডারের গণনা

সূর্যগ্রহণ হলে নির্মূল হবে মহামারির প্রকোপ। আবার মায়া ক্যালেন্ডারের হিসাব অনুযায়ী এদিনই ধ্বংস হওয়ার কথা পৃথিবীর। কিন্তু সব কুসংস্কারকে পিছনে ফেলে জয় হলো বিজ্ঞানের।

রবিবার ভারতের আকাশ থেকে স্পষ্ট দেখা গিয়েছে বলয়গ্রাস সূর্যগ্রহণ। এর আগে ২০১৯-র ২৬ ডিসেম্বরেও ভারতের দক্ষিণাংশ থেকে বলয়গ্রাস সূর্যগ্রহণ দেখা গিয়েছিল৷ ওই সময় থেকে চিনে মহামারির দাপট শুরু হয়। সূর্যগ্রহণ প্রসঙ্গে দিন কয়েক আগে পরমাণু বিজ্ঞানী ডঃ কে. সুন্দর দাবি করেন, ২১ জুন বলয়গ্রাস সূর্যগ্রহণের পরই পৃথিবী ছেড়ে বিদায় নেবে মহামারি। তাঁর বক্তব্য ছিল, এই মহামারি পরিস্থিতি রাসায়নিক পরীক্ষাগারে তৈরি হয়নি। একটি মহাজাগতিক ঘটনা। মহাকাশ থেকে ক্ষতিকর তেজস্বীরশ্মি বিকরণের ফলে এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।

অন্যদিকে, মায়া ক্যালেন্ডার বলেছে ২১জুন পৃথিবী ধ্বংসের দিন। এর আগেও পৃথিবী ধ্বংস হওয়া নিয়ে তথ্য দিয়েছিল। ক্যালেন্ডার শুরু ৫১২৫ বছর আগে। কন্সপিরেসি থিয়োরিস্টদের ধারণা ছিল সেই ক্যালেন্ডার শেষ হচ্ছে ২১ ডিসেম্বর, ২০১২। অর্থাৎ পৃথিবী ধ্বংস হওয়ার কথা ২০১২ সালের ২১ ডিসেম্বর। সেই গণনাও ভুল হয়। গ্রেগ্রিয়ান ক্যলেন্ডারের সঙ্গে গণনা করে দেখা যায় পৃথিবী ধ্বংস হবে ২১ জুন ২০২০।

তবে বাস্তবে এই দুই মতকে ভুল প্রমাণ করল বিজ্ঞান। নিছক ভ্রান্ত ধারণা ছাড়া যে আর কিছুই নয় তা প্রমাণিত হয়েছে। মায়া ক্যালেন্ডার থেকে মহামারির তত্ত্ব যে অযৌক্তিক চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল বিজ্ঞান। আগেই বিজ্ঞানীরা জানিয়েছিলেন, বিজ্ঞানের সঙ্গে মায়া ক্যালেন্ডারের কোনও সম্পর্ক নেই। মায়া ক্যালেন্ডার অনুযায়ী, ক্যালেন্ডারের শুরুর দিন পৃথিবীর জন্ম। কিন্তু বাস্তবে পৃথিবীর জন্ম কয়েক হাজার কোটি বছর আগে। অন্যদিকে সূর্য গ্রহণের সঙ্গে মহামারির কোনও সম্পর্ক নেই তাও স্পষ্ট করেন বিজ্ঞানীরা। সূর্যের আলো, রশ্মি, অতিবেগুনি রশ্মি বেরোলে মহামারির দাপট কমবে এই ক্ষেত্রে বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই।

Previous article“শুধু নিজের মনের কথা শোনো”, সুশান্তের সেই বিখ্যাত বিজ্ঞাপন সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল!
Next articleস্পর্শ না করেই মেশিন থেকে মিলবে চরণামৃত!