Monday, May 12, 2025

সেনাদের কীভাবে সম্মান জানাতে হয় ভারতের কাছে শিখুক সরকার, ক্ষোভপ্রকাশ চিনা নেটিজেনদের

Date:

Share post:

লাদাখ সীমান্তের গলওয়ান উপত্যকায় ভারত- চিন সংঘর্ষের এক সপ্তাহ পেরিয়েছে। ১৫ জুন রাতের এই সংঘর্ষে ভারতের ২০ জন সেনা নিহত হয়েছেন। কিন্তু চিনের সরকার তাদের সেনাদের হতাহতের বিষয়ে এখনও মুখে কুলুপ এঁটে রয়েছে। নিজেদের ক্ষয়ক্ষতি নিয়ে বিস্তারিত কোনও তথ্যই প্রকাশ করা হয়নি। অতি সম্প্রতি এক কমান্ডারের মৃত্যুর কথাই শুধু জানিয়েছে বেজিং।

এই ঘটনায় চিনের সোশ্যাল মিডিয়ায় ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন সেদেশের নেটিজেনরা। নিজেদের হত সেনাদের বিষয়ে সরকারের এই নিস্পৃহতায় প্রশাসনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ বাড়ছে। চিনের সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারীদের একাংশ সরাসরি শাসক কমিউনিস্ট পার্টি ও সরকারের ঊর্ধ্বতনদের আক্রমণ করে বলছেন, কীভাবে শহিদদের সম্মান করতে হয়, তা ভারতকে দেখে শিখুন। কতজন সেনা নিহত, তাদের মরদেহ কোথায় রয়েছে, শেষকৃত্য হয়ে গিয়েছে কিনা, সে সব নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অনেকেই।
গলওয়ানে সংঘর্ষের ঘটনায় চিনা বাহিনীর এক কমান্ডারের মৃত্যুর খবর সোমবার সেনাস্তরের বৈঠকই প্রথম স্বীকার করে বেজিং।

চিনের সরকারি সংবাদমাধ্যম গ্লোবাল টাইমসের দাবি, সংঘর্ষে ভারতের চেয়ে চিনের কম সংখ্যক সেনা নিহত হয়েছে। যদিও ১৫ জুনের পরেই ভারতীয় সেনা বাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল, পিপলস লিবারেশন আর্মির অন্তত ৪৫ জন হতাহত হয়েছে। সম্প্রতি আমেরিকার একটি সামরিক পর্যবেক্ষণ সংস্থার রিপোর্টে বলা হয়েছে, ভারতের সঙ্গে সংঘর্ষে চিনের অন্তত ৩৪ জন সেনা নিহত হয়েছে।

এদিকে চিনা নেটিজেনদের একাংশের দাবি, পিপলস লিবারেশন আর্মির নিহত কমান্ডারের মৃতদেহ গোপনে তাঁর পরিবারের হাতে তুলে দিয়েছে চিন সরকার। বাকি নিহত সেনাদের বিষয়ে এখনও চিনা প্রশাসন নিরুত্তর। প্রসঙ্গত, নিজেদের ক্ষয়ক্ষতির তথ্য চেপে যাওয়ার দীর্ঘ ঐতিহ্য আছে চিনা কমিউনিস্ট শাসকদের। এর অাগে ১৯৬৭ সালে ভারত- চিন যুদ্ধের পরেও নিজেদের নিহত সেনাদের বিষয়ে তথ্য চেপে গিয়েছিল চিন। ওই যুদ্ধে ভারতের হাতে পর্যুদস্ত হয় চিন। সেইসময় চিনের প্রায় ৩০০ সেনার মৃত্যু হলেও সংখ্যা নিয়ে মুখে কুলুপ অাঁটে চিন।

 

spot_img

Related articles

পুলওয়ামার আত্মঘাতী হামলায় মদতের কথা স্বীকার করে ফেলল পাকিস্তান

২০১৯ সালে জম্মু ও কাশ্মীরের পুলওয়ামায় সিআরপিএফ কনভয়ে আত্মঘাতী হামলা হয়। শহিদ হন ৪০ জন CRPF জওয়ান। জঙ্গি...

দেশের স্বার্থ বিরোধী: অশান্তির পরিস্থিতিতে বামেদের মিছিলকে ধুইয়ে দিলেন কুণাল

পাকিস্তানী সন্ত্রাসবাদীদের বিরুদ্ধে যখন কেন্দ্রের সরকার অপারেশন সিন্দুর-এর মতো অভিযান চালাচ্ছে দেশের সেনা, সেই সময় পাশে দাঁড়িয়েছে গোটা...

ঝাড়গ্রামে ‘সাদা পাহাড়’ ঘিরে নয়া পর্যটন কেন্দ্র

ঝাড়গ্রামের (Jhargram) পর্যটন পরিকাঠামোয় বড়সড় উন্নয়নে পদক্ষেপ করছে রাজ্য। বেলপাহাড়ির ‘সাদা পাহাড়’ বা স্থানীয়দের কথায় ‘চেতন ডুংরি’ এলাকায়...

মহানগরীর পরিবহন ব্যবস্থায় বড় বদল! ধর্মতলায় ভূগর্ভস্থ পার্কিং প্লাজা-টানেল

মহানগরীর পরিবহন ব্যবস্থায় বড় বদল আনতে চলেছে রাজ্য সরকার। মেট্রো (Metro) সম্প্রসারণের ফলে ধর্মতলা দ্রুতই হয়ে উঠবে কলকাতার...