Monday, August 25, 2025

তালিকাই নেই, রাজ্যের হকারদের কেন্দ্রীয় প্রকল্পে ব্যাঙ্ক ঋণ পাওয়া অনিশ্চিত

Date:

‘পরিযায়ী শ্রমিকদের রোজগার যোজনা’ থেকে আগেই বাদ গিয়েছে বাংলা৷ অভিযোগ উঠেছে, এবার নাকি ‘কেন্দ্রীয় হকার ঋণ প্রকল্প’ থেকেও ছেঁটে ফেলা হয়েছে এই রাজ্যকে৷

মহামারির মোকাবিলায় লাগু করা লকডাউনে ক্ষতিগ্রস্ত হকারদের নতুন করে ব্যবসা শুরু করার জন্য ‘প্রধানমন্ত্রী স্ট্রিট ভেন্ডর আত্মনির্ভর নিধি’ নামে এক নতুন প্রকল্প চালু করেছে কেন্দ্র। এই প্রকল্পে নাম লেখানো হকাররা সামান্য সুদে ১০ হাজার করে টাকার ব্যাঙ্ক ঋণ পাবেন। দেশের বেশ কয়েকটি রাজ্য এই প্রকল্পের মাধ্যমে হকারদের ঋণদান ইতিমধ্যে শুরুও করে দিয়েছে। কিন্তু তথাকথিত নিয়মের ফাঁসে বাংলার হকাররা এই প্রকল্পে ব্যাঙ্কে আবেদন করারও সুযোগ পাচ্ছেন না। সূত্রের খবর, এই প্রকল্পে ব্যাঙ্ক ঋণ পেতে কেন্দ্র বেশ কিছু শর্ত রেখেছে৷ পূরণ করতে হবে এসব শর্ত৷ আবেদন করতে ইচ্ছুক হকারদের সরকারি পরিচয়পত্র থাকতে হবে৷ অথবা সরকারি তালিকায় তাদের নাম থাকতে হবে। কিন্তু এ রাজ্যে এখনও হকারদের পূর্ণাঙ্গ তালিকাই নেই। বৈধ পরিচয়পত্রও নেই। তাই এখানকার হকাররা ঋণের জন্য ব্যাঙ্কে আবেদনই করতে পারছেন না।
বাংলার হকাররা যাতে এই কেন্দ্রীয় প্রকল্পের সুবিধা পেতে পারেন, সে জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হস্তক্ষেপ চেয়েছে ন্যাশনাল হকার ফেডারেশন। একান্তই এই প্রকল্পের মাধ্যমে ঋণ না পেলে বিকল্প হিসেবে রাজ্যের সমবায় ব্যাঙ্ক থেকে হকারদের ঋণ দেওয়ার জন্য অনুরোধ করেছে ফেডারেশন।

জানা গিয়েছে, রাজ্যে হকার চিহ্নিতকরণ করতে অনেক সময় লাগবে৷ সবে এই তালিকা তৈরির নির্দেশ দিয়েছে পুর দফতর৷ কলকাতা-সহ রাজ্যের ১৩১টি পুরসভায় আনুমানিক প্রায় ২০ লক্ষ হকার আছেন৷ এদের তথ্যপ্রমাণ জোগাড়ে সময় লাগবে। সেই কাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত হকারদের কেন্দ্রীয় প্রকল্পে ব্যাঙ্ক ঋণ পাওয়ার সম্ভাবনাই নেই।
তৃণমূলের দাবি, হকারদের ঋণ দেওয়ার জন্য কেন্দ্রীয় সরকার যে সব শর্ত দিয়েছে তা পূরণ করতে না পারলে হকাররা এই সুবিধা পাবেন না৷ কেন্দ্রীয় সরকারের নিয়ম শিথিল করা উচিত।ন্যাশনাল হকার ফেডারেশনের সম্পাদক শক্তিমান ঘোষ বলেছেন, “আগামী ১ জুলাই থেকে সারা দেশের হকাররা কেন্দ্রীয় প্রকল্পে ব্যাঙ্ক ঋণ পেতে শুরু করবেন। কিন্তু রাজ্যে যেহেতু হকারদের তালিকাই নেই, তাই রাজ্যের হকাররা ব্যাঙ্ক ঋণ পাবেন না৷ বাংলার হকাররা যাতে বঞ্চিত না হন, সে জন্য মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছি।’ সিটু’র প্রশ্ন, এ রাজ্যে হকারদের তালিকা তৈরির কাজ কেন হল না? রাজ্য এবং কেন্দ্র, কেউই দায় এড়াতে পারে না। বিজেপি বলেছে, দলীয় স্তরে দিল্লি থেকে রাজ্য কমিটির কাছে বাংলার হকার সংখ্যা জানাতে বলা হয়েছিল। কিন্তু তালিকাই তো নেই।

আর এই চাপান-উতোরের মাঝে হকাররাই বঞ্চিত হচ্ছেন, কেন্দ্রীয় প্রকল্পে ব্যাঙ্ক ঋণ তাঁরা পাবেন না৷

Related articles

আধারের অভাবে রেশন বঞ্চনা নয়, কড়া নির্দেশ খাদ্য দফতরের 

আধার কার্ড না–থাকা বা বায়োমেট্রিক যাচাই না–হওয়ার কারণে আর কোনও বৈধ রেশন গ্রাহককে খাদ্যসাথী প্রকল্পের সুবিধা থেকে বঞ্চিত...

হাওড়ায় বৃদ্ধ খুনের নেপথ্যে সমকামী সম্পর্ক-ব্ল্যাকমেইল! তদন্তে চাঞ্চল্যকর তথ্য

হাওড়ায় বৃদ্ধ খুনের নেপথ্যে চাঞ্চল্যকর তথ্য। হাওড়ার গোলাবাড়ি থানার সালকিয়ার অরবিন্দ রোডের বাসিন্দা অসীম দে (Asim de) খুন...

গাড়ির মালিকানা বদল ও রেজিস্ট্রেশন নবীকরণে বড় ছাড়, প্রক্রিয়া সহজ করল পরিবহণ দফতর 

রাজ্যের নন-ট্রান্সপোর্ট গাড়ির মালিকানা বদল ও রেজিস্ট্রেশন নবীকরণের জটিলতা এবার অনেকটাই সহজ হল। পরিবহণ দফতরের নতুন সিদ্ধান্তে গাড়ি...

ভোটার ও বিরোধীদের রুখতে E² ব্যবহার করে বিজেপি: তোপ অভিষেকের

এই প্রথম নয়, এর আগেও একাধিকবার কমিশনের ভূমিকা যে সম্পূর্ণ পক্ষপাতদুষ্ট সেই অভিযোগ তুলেছেন তৃণমূলের (TMC) সর্বভারতীয় সাধারণ...
Exit mobile version