দৈনিক আয় ১০ হাজার, ব্যয় ১২ লক্ষ, কী হবে ট্রামের ভবিষ্যৎ?

লকডাউনের প্রভাব পড়েছে কলকাতার ট্রামে। ঘূর্ণিঝড় আমফান পরবর্তী পরিস্থিতিতে চালু হয়েছে একটি রুট। চলছে ছ’টি ট্রাম। প্রতিদিন যাত্রী হচ্ছে গড়ে দেড় হাজার। আর টিকিট বিক্রি করে আয় হচ্ছে ১০ হাজার টাকা। সংশ্লিষ্ট রুটের ট্রামের কর্মীদের দৈনিক বেতনের নিরিখে রাজ্য পরিবহন দফতরের খরচ হয় ১ লক্ষ টাকা। শহরের অন্যান্য রুটে কর্মীদের বেতন এবং মেনটেন্যান্স মিলে দিনে খরচ আরও ১১ লক্ষ। এই বিপুল পরিমাণ ব্যয় বহন করতে গিয়ে জেরবার অবস্থা।

গত ১০ বছরে শহরে ট্রামের রুটের সংখ্যা কমেছে। ৩৭ থেকে কমে দাঁড়িয়েছে ৮- এ। এদিকে ঘূর্ণি ঝড়ের ফলে বিভিন্ন রুটের তার ছিঁড়ে গিয়েছে। বালিগঞ্জ-টালিগঞ্জের রুটের ট্রাম চালু হয়েছে। রাজ্য পরিবহন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, একটি রুটে ট্রাম চালাতে ১ লক্ষ টাকা খরচ হচ্ছে। লকডাউন শুরুর আগের অবস্থায় ফিরতে ৫-৬ কোটি টাকা খরচ করতে হবে। এদিকে ট্রামের উন্নয়ন খাতে রাজ্য সরকারের বছরে বরাদ্দ দেড় কোটি টাকা। পরিবহণ দফতর সূত্রে খবর, সংশ্লিষ্ট রুটে ছ’টা ট্রাম চালাতে ১২ জন ড্রাইভার, ২৪ জন কন্ডাক্টর, ১২ জন ডিপোকর্মী, ৬ জন সাফাইকর্মী, ৪ জন স্টার্টার এবং অন্য কর্মী মিলিয়ে অন্তত ৭০ জন লোক লাগছে। সবমিলিয়ে বেতন ১ লক্ষ টাকার কাছাকাছি। পরিবহনমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী জানিয়েছেন, মেরামতির কাজ চলছে। ধীরে ধীরে সব রুটেই ট্রাম চালানো হবে। ট্রাম বন্ধ হয়ে যাবে ভাবার কারণ নেই।”

Previous article নিজের প্রজাতিকে বাঁচিয়ে রাখতে ৮০০ সন্তানের জন্ম দিয়েছে ‘দিয়েগো’!
Next articleধারাবাহিকভাবে তেলের দাম বাড়লেও এখনও পর্যন্ত সবজি ও মাছের বাজারে তার আঁচ পড়েনি