দুপুর বারোটায় ছেলের সঙ্গে কথা হয়েছিল। তার দেড় ঘণ্টার মধ্যেই পাল্টে গেল গোটা চিত্র। পশ্চিম মেদিনীপুরের সবং এর বাড়িতে খবর পৌঁছল ছেলে শহিদ হয়েছেন।
শুক্রবার কাশ্মীরের অন্ততনাগে সন্ত্রাসবাদীদের গুলিতে শহিদ হন সবংয়ের বাসিন্দা শ্যামল কুমার দে। মৃত্যুর খবর সামনে আসতেই সবং থানার ডাঁডরা গ্ৰাম পঞ্চায়েতের সিংপুর গ্ৰামে শোকের ছায়া নেমে আসে। শোকে বিহ্বল বাবা
বাদল দে। দেড় ঘণ্টা আগেও যে ছেলের সঙ্গে কথা হয়েছে তাঁর মৃত্যু মেনে নিতে পারছেন না তিনি। বারবার জ্ঞান হারাচ্ছেন মা শিবানী দে-ও। বাদল দে বলেন, “বেলার দিকে ওর সঙ্গে ফোনে কথা হয়েছে। বাড়ির কিছু জিনিস কিনতে গিয়ে সেই ছবি হোয়াটসঅ্যাপে পাঠাই। তারপর দেড়টার সময় আবার ফোন করি। তখন ছেলের ফোন বেজে যায়।”
এর কিছুক্ষণ পরেই এক কমান্ডার ফোন করে শ্যামলের শহিদ হওয়ার খবর জানান।
ডিসেম্বরে বাড়িতে ছুটি নিয়ে বাড়ি গিয়েছিলেন শ্যামল। পরিবারের সঙ্গে সেটাই শেষ দেখা। ২০১৫ সালে তিনি সিআরপিএফে যোগ দেন। পরিবারের একমাত্র রোজগেরে ছিলেন শ্যামল। জঙ্গিদের আক্রমণ কেড়ে নিল একমাত্র ছেলেকে। শুক্রবার রাজ্যসভার সাংসদ মানস ভুঁইয়া, বিধায়ক গীতা ভুঁইয়া, বিডিও অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়,সবং থানার ওসি শ্যামলের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন। মানস ভুঁইয়া কেন্দ্রীয় সরকারকে দুর্বল বলে তোপ দাগেন। বলেন, “আমরা গর্বিত। কিন্তু এভাবে আর কত বাবা মায়ের কোল খালি হবে?” অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কাজি সামসুদ্দিন আহমেদ জানান, শনিবার জওয়ানের দেহ গ্রামে পৌঁছবে।