যখন তৃণমূল ও অন্য বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি কেন্দ্রকে একহাত নিয়েছে, ঠিক তখনই একাধিক ইস্যু টেনে এনে এবং উদাহরণ তুলে ধরে রাজ্য সরকারের কড়া সমালোচনা করলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারকে নিশানা করতে গিয়ে এদিন করোনা থেকে আমফান হোক বা রেশন দুর্নীতি থেকে তৃণমূলের সন্ত্রাস কিংবা পরিযায়ী শ্রমিক থেকে কিষান যোজনা অথবা ৩৭০ ধারা বিলোপ থেকে সিএএ, কিছুই বাদ দিলেন না বিজেপি রাজ্য সভাপতি।
সাংবাদিক সম্মেলনে যা যা বললেন দিলীপ ঘোষ—
(১) করোনা আবহে দীর্ঘ লকডাউনের মধ্যে ভিন রাজ্য থেকে ঘরে ফিরতে চাইছিলেন এ রাজ্যেও পরিযায়ী শ্রমিকরা। দেশের অনেক রাজ্য পরিযায়ীদের ঘরে ফেরাতে বেশি বেশি ট্রেন চেয়েছে। কিন্তু বাংলা চেয়েছে অনেক কম। দিদি আবার কটাক্ষ করে সেই বিশেষ ট্রেনগুলিকে করোনা স্পেশাল বলে পরিযায়ীদের আসলে অপমান করেছেন।
(২) করোনা চিকিৎসার জন্য ৪২টি সুপার স্পেশালিষ্ট হাসপাতালের কথা বলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু দুটোর বেশি হাসপাতাল দেখাতে পারছে না।
(৩) বাংলায় প্রতিটি হাসপাতালে দাবি উঠেছে, পিপিই কিট নেই।
(৪) পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য কোয়ারেন্টাইন সেন্টার খোলা যায়নি।
(৫) কেন্দ্রীয় টিম গিয়েছিল সাহায্য করতে। বাধার সম্মুখীন হতে হয়েছে।
(৬) মুখ্যমন্ত্রীকে জিজ্ঞাসা করেছি, আপনার নেতারা কেন অসুস্থ হচ্ছেন? আসলে তৃণমূলের নেতারা সোশ্যাল ডিস্টেন্স-এর নিয়ম মানেননি। চাল-ডাল বিলিতে ছিলেন।
যাঁরা সচেতন করবেন তারাই বিপদের কারণ হয়ে দাড়িয়েছেন।
(৭) আমফানের পূর্বাভাস ১১দিন আগে জানিয়েছিল আবহাওয়া দফতর। আমফান ত্রাণে ১ হাজার কোটি টাকা দিয়েছে কেন্দ্র। সেই টাকা কোথায় গিয়েছে তা জানা নেই। আমফানের জন্য আগে থেকে সতর্ক হলে অনেক মানুষ বাঁচতেন। কলকাতা শহরেই বিদ্যুৎ ছিল না ৬ দিন।
(৮) কেন্দ্র থেকে আসা রেশন নিতে তৃণমূলের কুপন দেখাতে হয়। এক দেশ এক রেশন ব্যবস্থার বিরোধিতা করছে তৃণমূল, কারণ ওখানে কুপন চলবে না।
(৯) তৃণমূল বলেই এত দুর্নীতি সম্ভব। অন্য কোনও পার্টির পক্ষে সম্ভব নয়।
(১০) কেন্দ্রের কিষান যোজনার বিরোধিতা করেছেন করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু বাংলার ৯৬ শতাংশ গরিব কৃষক। দেশের সব রাজ্যের কৃষকরা লাভবান হয়েছে, কিন্তু বাংলার কৃষকরা বঞ্চিত হয়েছেন।
(১১) কেন্দ্র টাকা দিচ্ছে। আয়ুস্মান যোজনায় কেন আপত্তি রাজ্যের?
(১২) কেন্দ্র ৩ লক্ষ কোটি টাকা এমএসএমই-র জন্য দিয়েছে। বাংলায় শিল্প হওয়া উচিত। অনেকে তৈরি আছে। কিন্তু রাজ্য হিংসার পরিস্থিতি রয়েছে। এই কারণে সমস্যা হচ্ছে। সিপিএম, কংগ্রেস, তৃণমূল একইভাবে হিংসার রাস্তা নিয়েছে।
(১৩) ৩৭০-এর বিরুদ্ধে প্রথম বলিদান দিয়েছিলেন বাংলার সন্তান শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জি । কিন্তু সেই বাংলায় ৩৭০ ধারা বিলোপের বিরোধী প্রচার করা হচ্ছে।
(১৪) যাঁরা ভারতে শরনার্থী হয়ে এসেছিলেন, তাঁদের নাগরিকত্ব দেবে কেন্দ্র। কেন এর বিরোধিতা?
(১৫) পাকিস্তান-বাংলাদেশ থেকে আসা হিন্দুদের জন্য সিএএ-র বিরোধিতা কেন?