যাদবপুরের কিশোরীর ময়না তদন্তের রিপোর্টেও মৃত্যুর কারণ নিয়ে ধোঁয়াশা! তাহলে?

বয়স মাত্র ১২ বছর। সম্প্রতি, বাবা আবদার মেনে নতুন মোবাইল কিনে দিয়েছিল। তারপর থেকে বেশ হাসিখুশি ছিল নাবালিকা। এমনকী, মোবাইলের ফটো গ্যালারি থেকে খুব স্বাভাবিক ছবি ধরা পড়েছে। মৃত্যুর ঠিক আগেই এই ছবিগুলি তোলা। অর্থাৎ, মানসিক অবসাদের কোনও তত্ত্বই এখানে খাটছে না। তাহলে মৃত্যুর কারণ কী? পরিবার থেকে প্রশাসন, তৈরি হয়েছিল ধোঁয়াশা। উত্তর দিতে পারতো ময়না তদন্তের রিপোর্ট। কিন্তু এখানেও ধোঁয়াশা!

গলায় গামছা লাগানো অবস্থায় বিছানা থেকে আংশিক ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছিলপূর্ব যাদবপুরের ১২ বছরের কিশোরী স্কুল ছাত্রীর মৃতদেহ। তার রহস্য মৃত্যুর পরই
আত্মহত্যা, দুর্ঘটনা নাকি হত্যা? মৃত্যুর কারণ নিয়ে তদন্ত শুরু করে পুলিশ। তারপরই আজ, সোমবার ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট এসেছে।

পুলিশ সূত্রে খবর, পোস্টমর্টেম রিপোর্ট অনুযায়ী পার্শিয়ালি হ্যাঙ্গিং অর্থাৎ আংশিকভাবে ঝুলন্ত হওয়ার কারণেই কিশোরীর মৃত্যু, সেটা স্পষ্ট হয়েছে। তবে সেটি আত্মহত্যা নাকি অন্য কিছু তা এখনও স্পষ্ট নয়। পুলিশ বলছে, কিশোরীর গলায় মাঝ বরাবর দাগ মিলিছে। সিলিং-এ ঝুললে সে ক্ষেত্রে লিগেচার মার্ক অর্থাৎ গলার উপরিভাগে থাকার কথা, এ ক্ষেত্রে তা মাঝ বরাবর। পাশাপাশি শরীরে কোনও বাহ্যিক ক্ষতও মেলেনি। কিশোরীর হাতের সোনার আংটি, কানের দুলও চুরি হয়নি। কাজেই চুরি বা লুটের জন্য খুন হয়নি, সেটাও স্পষ্ট।

তাহলে কী কারণে মৃত্যু? ধন্দে পড়েছেন তদন্তকারীরা। আত্মহত্যা নাকি খেলার ছলে গলায় ফাঁস পড়ে মৃত্যু? খতিয়ে দেখছে পুলিশ। কিশোরীর মৃত্যু জট কাটাতে মরিয়া পুলিশ।

Previous articleমঙ্গলবার ফের জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ প্রধানমন্ত্রীর
Next articleমার্কিন প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি ইরানের