গত দু’দিন তুমুল বৃষ্টি হয়েছে রাজ্য জুড়ে। দক্ষিণবঙ্গে অবশ্য বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি হলেও নাগাড়ে বর্ষণ হয়েছে উত্তরবঙ্গে।
আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, একটি নিম্নচাপ অক্ষরেখা পাঞ্জাব থেকে পূর্ব বিহার পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। পাশাপাশি সক্রিয় রয়েছে মৌসুমী বায়ু। ফলে শক্তিশালী দখিনা বাতাসে ভর করে ভূখণ্ডে প্রচুর পরিমাণ জলীয় বাষ্প ঢুকছে বঙ্গোপসাগর থেকে। তার জেরেই আর রাজ্য জুড়ে চলছে এই বৃষ্টিপাত।
বুধবার ভারী বৃষ্টি হতে পারে দার্জিলিং, কালিম্পং, জলপাইগুড়ি, কোচবিহার ও আলিপুরদুয়ারে। বৃহস্পতিবার থেকে ফের অতি ভারী বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে দার্জিলিং, কালিম্পং, জলপাইগুড়ি, কোচবিহার ও আলিপুরদুয়ারে।
উত্তরবঙ্গের পাশাপাশি দক্ষিণবঙ্গেও বজ্রবিদ্যুৎ সহ বিক্ষিপ্ত বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। বৃহস্পতিবার থেকে দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টির পরিমাণ বাড়তে পারে। পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ ও নদিয়াতে বৃহস্পতিবার ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। কলকাতাতেও আকাশ মেঘলা থাকবে। বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে কলকাতাতেও। এ বছর নির্দিষ্ট সময়ে বর্ষা এসেছে দেশে। নির্ধারিত দিন অর্থাৎ ১ জুন কেরলে ঢুকেছে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ু। বাংলাতেও বর্ষা এসেছে সঠিক সময়েই। অন্যান্য বছর আগে উত্তরবঙ্গে আসে বর্ষা। তারপর ঢোকে দক্ষিণবঙ্গে। তবে এ বছর দুই বঙ্গে একই দিনে বর্ষা এসেছে।
