ধর্মতলায় সভা নয়। ফলে বড় জমায়েতের প্রশ্নই নেই। সোশ্যাল মিডিয়াকে মাধ্যম করেই এবার ২১ জুলাইয়ে দলনেত্রীর বক্তব্য শুনবেন অসংখ্য তৃণমূল কর্মী, সমর্থক ও নেতৃত্ব। করোনা আবহে এই ব্যতিক্রমী সিদ্ধান্ত তৃণমূল সুপ্রিমোর। ধর্মতলায় হবে শহিদবেদী। শহিদবেদী হবে ব্লকে ব্লকে। আর রাজ্য জুড়ে প্রায় প্রতিটি এলাকায় জায়ান্ট স্ক্রিনে শোনা ও দেখা যাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাষণ। সেই সঙ্গে রাজনৈতিক কর্মসূচির দিন তারিখও ঘোষণা করে দিলেন। কী সেই কর্মসূচি?
৬-১৩ জুলাই। কেন্দ্রের জনবিরোধী নীতির প্রতিবাদে কর্মসূচি।
১. ৭ জুলাই রেলের বেসরকারিকরণের প্রতিবাদে রেল স্টেশনের সামনে অবস্থান বিক্ষোভ
২. পেট্রোপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে ৮ জুলাই বাড়ির সামনে প্ল্যাকার্ড নিয়ে প্রতিবাদ।
৩. ৯ জুলাই কয়লাখনি বেসরকারিকরণ করার প্রতিবাদে বিক্ষোভ
৪. ১০ জুলাই সমবায় ব্যাঙ্কের উপর আরবিআই-এর হস্তক্ষেপের প্রতিবাদ।
২১ জুলাইয়ে যা নির্দেশ :
১. প্রতি বুথে জমায়েত
২. বুথ প্রতি ২৫ জনের বেশি জমায়েত নয়
৩. দুপুর ১টা থেকে জমায়েত ও কর্মসূচি শুরু
৪. শহিদবেদীতে মাল্যদান
৫. নেত্রী বক্তব্য রাখবেন দুপুর ২টো থেকে
শুক্রবার তৃমমূলের মেগা ভার্চুয়াল সভায় বিধায়ক, সাংসদ, জেলা সভাপতি ও সভাধিপতিদের নিয়ে ভিডিও কনফারেন্সে বৈঠক করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই বৈঠক থেকে দলনেত্রী একদিকে দলের একুশের প্রস্তুতির কথা যেমন বলেন, ঠিক সেরকম আন্দোলনের রূপরেখা নির্ধারণ করে দেন।
বিধায়কদের দলনেত্রীর নির্দেশ, জিততেই হবে সকলকে। তার জন্য নিবিড় জনসংযোগ এখন থেকে শুরু করতে হবে। তবে সামাজিক দূরত্ব এবং সমস্ত করোনা নিয়ম নিয়ম নীতি পালন করেই জনসংযোগে নেমে পড়তে হবে।
আন্দোলনের ইস্যু কী হবে? তারও রূপরেখা তৈরি করে দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একদিকে যেমন রেল কয়লা খনি বেসরকারিকরণের বিরুদ্ধে লাগাতার প্রচার চলবে, অন্যদিকে পেট্রোল ডিজেলের লাগামছাড়া দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদে সভা করতে হবে। প্রতিটি বুথে বুথে হবে এই সভা। আর সেই সঙ্গে তুলে ধরতে হবে রাজ্য সরকারের সাফল্যের কথা।