আরামবাগে ধৃতরা কেউ সাংবাদিকই নন: হুগলির গ্রামীণ পুলিশ সুপার

আরামবাগে সাংবাদিক গ্রেফতার নিয়ে বিভ্রান্তিমূলক প্রচার চলছে। ভয় দেখিয়ে টাকা আদায়ের অভিযোগে যাদের গ্রেফতার করা হয়েছে তারা কেউই সাংবাদিক নন৷

সিঙ্গুরে এক সাংবাদিক বৈঠকে একথা জানিয়েছেন হুগলির পুলিস সুপার (গ্রামীণ) তথাগত বসু। তিনি বলেছেন, শফিকুল ইসলাম ও তার সহযোগীরা কেউ সাংবাদিক নন। বিভিন্ন নামে ৪টি খবরের কাগজ প্রকাশিত হয় তাদের। রাজ্যের তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তর থেকে পুলিশকে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে, ওই নামে কোনও সংবাদপত্র সরকারি স্বীকৃত নয়। শফিকুল একটা ইউটিউব চ্যানেল চালায়। গত মার্চ মাসে ভুয়ো সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে ভয় দেখিয়ে আরামবাগের এক ব্যক্তির কাছ থেকে তারা ১৫ হাজার টাকা নিয়েছিল। ওই ব্যক্তির অভিযোগের ভিত্তিতেই তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পুলিশ সুপার আরও জানান, এর আগেও ২০১৩, ২০১৫ ও ২০১৭ সালে নির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন সফিকুল৷

প্রসঙ্গত, গত ২৮ জুন রাতে ‘আরামবাগ টিভি’র সম্পাদক সফিকুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তার করা হয় সফিকুলের স্ত্রী আলিমা বিবি এবং ‘আরামবাগ টিভি’র আরেক সাংবাদিক সুরজ আলি খানকে। তাঁদের বিরুদ্ধে সংবাদ পরিবেশনের নামে তোলাবাজির অভিযোগ ছিল।

এদিকে, আরামবাগ টিভি’র দাবি, সফিকুল এবং সুরজের উপর পুলিশের রাগ পুরনো৷
গত এপ্রিল মাসে ‘আরামবাগ টিভি’তে একটি খবর দেখানো হয়। বলা হয়, লকডাউনের মধ্যেও থানা থেকে স্থানীয় কতগুলি ক্লাবকে আর্থিক সাহায্যের চেক বিলি করা হচ্ছে। সেই খবরে দাবি করা হয়, তথাকথিত এই ‘ক্লাব’গুলির অস্তিত্বই নেই। শাসকদলের নেতামন্ত্রীদের টাকা পাইয়ে দিতেই এভাবে ক্লাবের নামে থানা থেকে চেক বিলি করা হচ্ছে। তখনই সফিকুলের বিরুদ্ধে ‘ভুয়ো’ খবর সম্প্রচারের মামলা দায়ের করা হয়েছিল। যদিও আদালত তাঁর গ্রেপ্তারিতে স্থগিতাদেশ দিয়ে দেয়। সেই মামলায় পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি। সফিকুলের তরফে দাবি, তখন থেকেই তাঁকে গ্রেফতারের চেষ্টা করা হচ্ছে।

Previous articleHOPE 2020: প্রবাসীদের ত্রাণ সংগ্রহের কনসার্টে নবীনদের মেলা
Next articleবেনজির ! বিশ্বের প্রথম ‘সোনা’য় মোড়া হোটেল, জেনে নিন খুঁটিনাটি