মন্ত্রীর ডাকা বৈঠকে নেই সাংসদ, নদীয়া তৃনমূলে নানা জল্পনা

সাংসদ মহুয়া মৈত্র নদীয়া জেলা তৃণমূলের সাংগঠনিক জেলা সভাপতির দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকেই ওই জেলার প্রায় সব পুরনো নেতাদের সঙ্গে তাঁর দূরত্ব তৈরি হতে শুরু করে৷

তৃণমূলের নানা পঞ্চায়েতের দুর্নীতি নিয়ে মহুয়ার একাধিক ভিডিও বার্তা তৃণমূলকে অস্বস্তিতেও ফেলে৷ জেলার সিনিয়র নেতাদের না জানিয়ে একের পর এক কমিটি ভেঙ্গে নতুন কমিটিও ঘোষণা করতে থাকেন মহুয়া মৈত্র৷

এবার কার্যত পাল্টা দিতে নেমেছে নদীয়া জেলায় তৃণমূলের প্রতিষ্ঠাতারা৷ মহুয়া মৈত্রকে বাদ দিয়েই কৃষ্ণনগরে সাংগঠনিক জেলা তৃনমূলের বৈঠক অনুষ্ঠিত হল। জানা গিয়েছে, রবিবার রাজ্য নেতৃত্বের নির্দেশে জেলার সমস্ত বিধায়ক এবং গুরুত্বপূর্ণ নেতাদের নিয়ে জেলা পরিষদের সভাকক্ষে একটি বৈঠক ডাকেন কৃষ্ণনগর সাংগঠনিক জেলা কমিটির চেয়ারম্যান তথা মন্ত্রী উজ্জ্বল বিশ্বাস। সেই বৈঠকে অনুপস্থিত ছিলেন কৃষ্ণনগর সাংগঠনিক জেলা তৃণমূলের সভানেত্রী মহুয়া মৈত্র। এ প্রসঙ্গে জেলা তৃণমূলের পর্যবেক্ষক রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য, “নদীয়ায় দলের সংগঠনকে শক্তিশালী করতে উজ্জ্বল বিশ্বাসের নেতৃত্বে এই কমিটি করা হয়েছে। জেলা কমিটির বিষয় নয় বলে অনেককে ডাকা হয়নি।” আর মন্ত্রী উজ্জ্বল বিশ্বাস বলেছেন, “জেলার বিধায়কের পাশাপাশি সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ নেতাদের বৈঠকে ডাকা হয়েছিল। মহুয়া মৈত্রকেও আসতে বলা হয়েছিল। তিনি কেন আসেননি, বলতে পারব না। সম্ভবত করিমপুরে কোনও অনুষ্ঠানে ছিলেন।”

হঠাৎ কেন মহুয়া মৈত্র গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে গরহাজির হলেন, তা নিয়ে নানা জল্পনা শুরু হয়েছে জেলাজুড়েই। কেউ কেউ বলছেন, তাহলে কি মহুয়া মৈত্রের সঙ্গে তৃণমূলের দূরত্ব বাড়ছে ?

Previous articleঅঘোষিত ভাবেই জ্যোতি বসুর জন্মদিন পালন করবে আলিমুদ্দিন
Next articleকরোনা রুখতে মমতার আবেদনে সাড়া কেন্দ্রের, কমছে পশ্চিমবঙ্গে স্পেশ্যাল ট্রেনের সংখ্যা