‘আনন্দবাজার’কে তুলোধনা করলেন মমতা

আইন বদলে আলুর মতো সাধারণ মানুষের খাদ্যপণ্যের দাম বৃদ্ধিতে সহায়তা করায় কেন্দ্রের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

রাজ্যে কংগ্রেস-সিপিএম-বিজেপি-এবিপি-র সঙ্গে লড়তে হচ্ছে। হাজরায় ‘সেফ ড্রাইভ সেভ লাইফ’ অনুষ্ঠানে মন্তব্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। এদিন সরাসরি আনন্দবাজার পত্রিকার নাম করে তিনি বলেন, “ইচ্ছাকৃতভাবে সরকার বিরোধী প্রচার চালাচ্ছে আনন্দবাজার”। মমতা বলেন, অনেক সংবাদমাধ্যমে তাঁর বিরুদ্ধে মন্তব্য করে। আর কারও সম্পর্কে তিনি বলছেন না। সমালোচনা তিনি ভালোভাবেই নিতে পারেন। কিন্তু আনন্দবাজার ইচ্ছে করে প্রতিদিন একাধিক সরকার-বিরোধী খবর করছে। একইসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “নিজেরা অনিয়ম করছে আনন্দবাজার গোষ্ঠী”। প্রচুর সাংবাদিক, চিত্র সাংবাদিককে তারা এই পরিস্থিতির মধ্যেই ছাঁটাই করেছে। প্রচুর লোকের বেতন কমিয়ে দিয়েছে। “আর জেলার লোকেরা যে কি করে সে বিষয়ে আর নাইবা বললাম”- মন্তব্য মমতার।

মুখ্যমন্ত্রী অভিযোগ করেন, নিজেদের সংবাদপত্র পরিচালনার ক্ষেত্রে গলদ রয়েছে আনন্দবাজারের। তিনি বলেন, লকডাউনের মধ্যে কোনও পুলিশ কর্মী বা রাজ্য সরকারি কর্মীর চাকরি যায়নি। অথচ আনন্দবাজারে প্রতিদিন ছাঁটাই হচ্ছে।
মুখ্যমন্ত্রী এইভাবে আনন্দবাজারকে আক্রমণ করায় মিডিয়ামহলেও তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। একটি অংশের বক্তব্য, মমতা ঠিক করেছেন। সংবাদমাধ্যম বলে সমালোচনায় ছাড় পাবে কেন? অন্য অংশের বক্তব্য, এসব মমতার মরশুমি কথা। এই আনন্দবাজার গোষ্ঠীকেই বিপুল টাকার বিজ্ঞাপন দেন। এখন কিছু অপছন্দ হলেই এসব কথা। রাজ্য সরকার চ্যানেলগুলির মধ্যে অন লাইন ক্লাস আনন্দবাজার গোষ্ঠীর চ্যানেল দিয়েই শুরু করেছিল। তখনও ওই গোষ্ঠীতে ছাঁটাইপর্ব চলেছে। মমতা একটি শব্দও বলেননি। এখন কিছু অপছন্দের খবর বেরোতেই তাঁর এসব প্রতিক্রিয়া। অতীতেও এসব হয়েছে। নিজেই বলেছেন ওই চ্যানেল দেখবেন না। নিজেই তারপর গিয়ে বসেছেন। সিঙ্গুরেও একবার কাগজের সম্পাদকের নাম করে কামান দেগেছিলেন। পরে মিটমাট। পুরোটাই সুবিধা অনুযায়ী। এক নম্বর কাগজের গণ্ডির বাইরে থাকা মমতা ভাবতেও পারেন না। ফলে এরকম দু একটা ভাষণ শরতের মেঘের মত। আনন্দবাজারের মধ্যে অবশ্য চাপা আলোচনা করছে একাংশ যে, যিনি নিজেকে মুখ্যমন্ত্রীর প্রতিনিধি বলে জাহির করে সব খবরে ছড়ি ঘোরান, তিনি দিদিমণির এই রাগ সামলাতে পারলেন না কেন?

Previous articleবৃষ্টিতে বিপর্যস্ত উত্তর: বাড়ছে বন্যার আশঙ্কা, বৃষ্টির পূর্বাভাস কলকাতা-সহ দক্ষিণেও  
Next articleফের পাহাড়ে পর্যটকদের যাওয়ায় নিষেধাজ্ঞা