চলে গেলেন বাংলা রক মিউজিক দুনিয়ার গর্বিত নাগরিক রঞ্জন ঘোষাল।
চিরঘুমের দেশে চলে গেলেন মহীনের আরও এক ঘোড়া।

স্বাধীন বাংলা ব্যান্ড. ‘মহীনের ঘোড়াগুলি’র প্রতিষ্ঠাতা সদস্য রঞ্জন ঘোষালের বয়স হয়েছিল ৬৫ বছর। শুধু সঙ্গীতের দুনিয়াতেই তাঁর বিচরণ ছিলো না, লেখক ও নাট্যব্যক্তিত্ব হিসাবেও তিনি প্রশংসিত হয়েছিলেন। স্ত্রী সঙ্গীতা ঘোষাল ও দুই পুত্রের সঙ্গে বেঙ্গালুরুতেই পাকাপাকি বাস করতেন রঞ্জন ঘোষাল। পরিবার সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার ভোরে নিজের বাড়িতে ঘুমের মধ্যেই মৃত্যু হয় রঞ্জন ঘোষালের৷ উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা ছিল তাঁর। নানা কারনে মানসিকভাবেও বিপর্যস্ত ছিলেন তিনি৷
১৯৭৪ সালে ৭ জন মিলে তৈরি করেছিলেন ‘মহীনের ঘোড়াগুলি’। শুরুতে নাম ছিল সপ্তর্ষি। রঞ্জন ঘোষাল ছাড়াও এই ব্যান্ডে ছিলেন গৌতম চট্টোপাধ্যায়, তপেশ বন্দ্যোপাধ্যায়, তাপস দাস, এব্রাহাম মজুমদার, বিশ্বনাথ চট্টোপাধ্যায় ও প্রদীপ চট্টোপাধ্যায়।
এদিন মহীনের ঘোড়াগুলির অন্যতম সদস্য প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় বন্ধুকে স্মরণ করে ফেসবুকে লেখেন, “একসাথে অনেক কিছু কাজ করা বাকি ছিল! কত কী করার আছে বাকি….”
সংবিগ্ন পাখিকূল ও কলকাতা বিষয়ক, অজানা উড়ন্ত বস্তু বা অ-উ-ব এবং দৃশ্যমান মহীনের ঘোড়াগুলি, এই তিনটি অ্যালবাম ভারতীয় রক মিউজিকের মাইলস্টোন হিসাবে আজও চিহ্নিত ৷ আশির দশকের গোড়ায় ব্যান্ড ছেড়ে নিজেদের কর্মজগতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন সকলে৷ ১৯৯৫ সালে ফের মুক্তি পায় মহীনের ঘোড়াগুলির ‘আবার বছর কুড়ি পরে’।এই অ্যালবামেরই গান ‘পৃথিবীটা নাকি ছোট হতে হতে’, যা আজকের জেনারেশনের কাছেও ততটাই জনপ্রিয়।
সঙ্গীতের পাশাপাশি রঞ্জন ঘোষাল, ইংরেজি ও বাংলা ভাষায় একাধিক কবিতা, গল্প এবং চলচ্চিত্র ও মঞ্চ নাটকের জন্য চিত্রনাট্য রচনা করেছেন। বেঙ্গালুরুতে স্ত্রী সঙ্গীতার গ্রুপ থ্রি নামে একটি থিয়েটার দলের সঙ্গে ইংরেজি নাটক পরিচালনা এবং পারফর্ম করতেন রঞ্জন ঘোষাল।
‘এখন বিশ্ব বাংলা সংবাদ’-এ রঞ্জন ঘোষালের একাধিক লেখা প্রকাশিত হয়েছে৷ তিনি নিয়মিত ভাবেই লিখতেন৷
