মারণভাইরাসের বিশ্ব মহামারি আটকাতে বড় অস্ত্র ভ্যাকসিন। গোটা বিশ্বেই তা আবিষ্কারে চলছে গবেষণা। এর মধ্যে আছে ভারতও। বিভিন্ন সূত্রে শোনা গিয়েছিল, চলতি বছরেই বাজারে ভ্যাকসিন আনার তোড়জোড় চলছে। কিন্তু শুক্রবার দেশের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সংসদীয় স্ট্যান্ডিং কমিটিকে কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতিনিধিরা সাফ জানালেন, আগামী বছরের আগে ভ্যাকসিন বানানো সম্ভব নয়।
প্রসঙ্গত, এমাসের শুরুতে ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিকেল রিসার্চ থেকে গবেষকদের একটি মেমো পাঠিয়ে বলা হয়, ১৫ অগাস্ট থেকে ভ্যাকসিন বানানোর কাজ শুরু করতে হবে। তা নিয়ে বিতর্ক বাধে। বিরোধীরা এবং চিকিৎসকমহল এর বাস্তবতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। বলা হয়, ক্লিনিকাল ট্রায়াল শুরু হওয়ার আগেই ভ্যাকসিন সফল হবেই তা কীভাবে ধরে নেওয়া যায়? এই নির্দেশের পিছনে রাজনৈতিক অঙ্কও দেখেছিলেন অনেকে। যদিও পরে আইসিএমআর থেকে ব্যাখ্যা দিয়ে বলা হয়, লাল ফিতের ফাঁসে আটকে গবেষণায় যাতে কোনও বিলম্ব না হয়, তা বোঝাতেই ওই মেমো পাঠানো হয়েছিল।
শুক্রবারের বৈঠকে সরকারের উচ্চপদস্থ অাধিকারিক ও পরামর্শদাতারা সাংসদদের বলেন, বিশ্বজুড়ে ভ্যাকসিন বানানোর যে প্রচেষ্টা চলছে, তাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে পারে ভারত। এক উচ্চপদস্থ অফিসারের বক্তব্য, বিশ্বে যত ভ্যাকসিন আছে, তার ৬০ শতাংশ আবিষ্কার হয়েছে ভারতে। তাই আশা করা যায় করোনার ভ্যাকসিন বানাতেও ভারত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে।