ফেসবুক লাইভে এসে ফের বোমা বর্ষণ রাজ্যের মন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের। বিষয় দলীয় দুর্নীতি এবং রাঘব বোয়ালদের বাদ দিয়ে চুনোপুঁটিদের সাসপেন্ড করা। রাজীবের লক্ষ্য দলেরই আর এক মন্ত্রী অরূপ রায়।
কী বললেন এবার রাজীব? বললেন, ‘বাংলার সংস্কৃতি হচ্ছে দুর্নীতি মুক্ত একটা সমাজ। দুর্নীতিকে সর্বস্তর থেকে দূর করতে হবে। সকলকে মিলে দুর্নীতিমুক্ত সমাজ তৈরি করতে হবে। দুর্নীতিমুক্ত হয়ে মানুষের পাশে থেকে মানুষের কাজ করতে হবে। ছোট ছোট অপরাধের অপরাধীকেও যেমন শাস্তি পেতে হবে, তেমনি বিভিন্ন জায়গায় যারা বড় বড় অপরাধ, বড় বড় দুর্নীতি করছেন, তাদের বিরুদ্ধেও একই ব্যবস্থা নিতে হবে। আমি শুধু চুনোপুঁটিদের ধরলাম, আর বড়দের ছেড়ে দিলাম, তা হতে পারে না। এরজন্য যদি চরম মূল্য দিতে হয়, তারজন্যেও তৈরি আছি।’
হাওড়ায় ত্রাণ দুর্নীতি নিয়ে বিবাদ রাজীব-অরূপের। রাজীব জেলার কো-অর্ডিনেটর আর অরূপ জেলা সভাপতি। অরূপ ত্রাণ দুর্নীতি নিয়ে প্রথমে ৩ জনকে শোকজ করেন। পরে সাসপেনসনের চিঠি ধরানো হয়। পরে আরও দুজনকে শোকজ করা হয়। যার জেরে ক্ষুব্ধ রাজীব বলেন সিদ্ধান্তের ব্যাপারে তাঁকে জানানো হয়নি, আর চুনোপুঁটিরা শাস্তি পেলে রাঘব বোয়ালরা বাদ যাবে কেন? পাল্টা অরূপ বলেন, রাজীবকে বৈঠক এবং সাংবাদিক সম্মেলনে বারবার ডাকা হলেও তিনি আসেননি। আর তিনি যে ভাষায় কথা বলছেন আসলে সেটা বিজেপির ভাষা। এই নিয়ে দিনভর বিতর্ক। বিকেলে বিতর্ক উস্কে ফের নাম না করে অরূপকে আক্রমণ। জল কতদূর গড়ায় সেটাই এখন লক্ষ্য রাখছে রাজনৈতিক মহল। ফিরহাদ হাকিম এই প্রশ্নের উত্তর এড়িয়ে সুপ্রিমোর দিকেই ঠেলে দিয়েছেন।