সংকটজনক রোগীদের বাঁচাতে নতুন দিশা দেখাচ্ছে হাতে তৈরি ৩৫০০ টাকার ভেন্টিলেটর

সময় যত এগোচ্ছে পাহাড়ের প্রত্যন্ত এলাকায় সংকটজনক রোগীর সংখ্যা উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে। কিন্তু জানেন কী? এই সংকটজনক রোগীদের বাঁচাতে সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন যেটি, তাহল ভেন্টিলেটর। আর এই ভেন্টিলেটর মাত্র 3500 টাকায় তৈরি করে তাক লাগিয়ে দিলেন বায়ুসেনার বিশ্বরেকর্ডধারী পাইলট তথা হিমালয়ান মাউন্টেনিয়ারিং ইনস্টিটিউটের ডিরেক্টর জয় কিষাণ ও তার সতীর্থরা।
এই ভেন্টিলেটরের নাম দেওয়া হয়েছে অ্যাম্বু ব্যাগ। পাহাড়ের অ্যাম্বুলেন্স ও গ্রামে এই ভেন্টিলেটর সহজেই ব্যবহার করা সম্ভব । ব্যাটারি এবং বিদ্যুৎ দুভাবেই চলতে পারে এই কম দামি ভেন্টিলেটর। নিশ্চয়ই ভাবছেন কী আছে এতে? জানা গিয়েছে, একটি মোটরের সাহায্যে এই অ্যাম্বু বাগ চালানো হয়। সঠিক পরিমাণে এবং নির্দিষ্ট চাপে প্রয়োজনীয় অক্সিজেন সরবরাহ করতে পারে একেবারে নির্ভুলভাবে। আসলে দার্জিলিংয়ের বহু গ্রাম প্রত্যন্ত এলাকায় হওয়ায়, সেখানকার কোনও রোগীর পরিস্থিতি সংকটজনক অবস্থায় পৌঁছালে তাঁকে সহজে অ্যাম্বুলেন্স করে হাসপাতালে নিয়ে আসা সম্ভব হয় না। সেক্ষেত্রে এই ভেন্টিলেটর নতুন দিশা দেখাবে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। আবিষ্কর্তার সতীর্থরা জানিয়েছেন, জয় কিষাণ স্যার যুদ্ধবিমান চালিয়েছেন ঠিকই, কিন্তু তাঁর পড়াশোনা ফিজিক্স নিয়ে। আর সেই কারণেই সহজে তার পক্ষে এই ধরনের যন্ত্র আবিষ্কার করার জন্য গাইড করা সম্ভব হয়েছে। খোদ জয় কিষাণ জানিয়েছেন, এই যন্ত্রটি তৈরি করার নেপথ্যে আমার মূল লক্ষ্য ছিল কত কম খরচে মানুষের জীবন বাঁচানো যায়। সেই উদ্দেশ্য নিয়েই পথ চলা শুরু করেছে অ্যাম্বু ব্যাগ। মানুষের প্রাণ বাঁচলে আমার প্রচেষ্টা সার্থক রূপ পাবে।

Previous articleসদলবলে পাইলট দিল্লিতে, কংগ্রেসের হাতছাড়া হতে চলেছে রাজস্থানও ? জল্পনা তুঙ্গে
Next articleএফএম-এ হিন্দি ভাষার ব্যবহার নিয়ে প্রতিবাদ রূপঙ্কর বাগচীর