রাজ্যের মানচিত্র থেকে হারিয়ে যেতে বসেছে একাধিক জনজাতি। এর মধ্যে কার্যত লুপ্তপ্রায় জনজাতিতে পরিণত হয়েছে বিরহোড়। সেই জনজাতির মেয়ে এই প্রথম উচ্চ মাধ্যমিকের গণ্ডি পেরোল।
বাঘমুন্ডির ধসকা পন্ডিত রঘুনাথ মুর্মু আবাসিক বিদ্যালয় থেকে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়েছে জানকি শিকারি।পুরুলিয়ার অযোধ্যা পাহাড়তলীর বাঘমুন্ডির ভূপতি পল্লীর বাসিন্দা সে। উচ্চমাধ্যমিকে তার প্রাপ্ত নম্বর ২১৭। ভবিষ্যতে শিক্ষিকা হওয়ার স্বপ্ন দেখে সে। জনকির কথায়, ” আমরা কেন পিছিয়ে থাকব। এই জনজাতিকে শিক্ষার আলোকে আলোকিত করে পিছিয়ে পড়া তকমা ঘোচাব আমি।” অষ্টাদশীর এ লড়াইয়ে পাশে দাঁড়াতে চান বাঘমুন্ডির বিধায়ক নেপাল মাহাতো l তিনি বলেন, “এই প্রথম বিরহোড় জনজাতির কোনও মেয়ে উচ্চ মাধ্যমিকে উত্তীর্ণ হলো। ওর লেখাপড়ার সব দায়িত্ব আমার। ইতিহাসের পাতায় ওর নাম লেখা থাকবে।”
অরণ্যের সবুজে এখনও বাস বিরহোড় জনজাতির। জঙ্গল থেকে বনজ সম্পদ বিক্রি করে, কাঠ কেটে হাটে বাজারে বিক্রি করে তাঁদের দিন কাটে। পেটের টানে এই কাজ করে থাকে তাঁরা। হস্টেল থেকে ফিরে জানকিকে সেই কাজই করতে হত। কিন্তু জানকি চায় সমাজের মূল স্রোতে ফিরুক
বিরহোড় জনজাতি।