সংক্রমণ রুখতে দেশের একাধিক শহরের সঙ্গে সরাসরি উড়ান পরিষেবা বন্ধ করেছে এ রাজ্য। তবে সরাসরি উড়ান পরিষেবা বন্ধ থাকলেও, বহু মানুষ কলকাতায় পৌঁছচ্ছেন ঘুরপথে। নতুন নিয়মের ফলে আদৌ কি কোন লাভ হচ্ছে? এই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে বিভিন্ন মহলে।
রাজ্য সরকার অনুরোধ জানায়, কলকাতা থেকে দিল্লি, মুম্বই, চেন্নাই, আমদাবাদ, নাগপুর ও পুণের সরাসরি উড়ান বন্ধ রাখতে হবে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুরোধে প্রাথমিকভাবে জুলাই থেকে ১৯ জুলাই পর্যন্ত উড়ান বন্ধ রেখেছিল বিমান মন্ত্রক। দ্বিতীয় দফার আবেদনে ফের সরাসরি উড়ান পরিষেবা বন্ধ রাখা হয়েছে ৩১ জুলাই পর্যন্ত।
বিমান মন্ত্রকের এই সিদ্ধান্তে কলকাতা থেকে ২৮টি উড়ান বন্ধ। এখন প্রতিদিন ৪০-৪২ টি বিমান চালু আছে। কিন্তু যে উদ্দেশে বিমান পরিষেবা বন্ধ করা হলো। তা আদৌ সফল হলো না বলেই মত উড়ান সংস্থার এক কর্তার। বিমানবন্দর সূত্রে খবর, দিল্লি থেকে জরুরি কাজে যারা কলকাতায় আসতে চাইছেন তাঁরা পাটনা, ভুবনেশ্বর, বারাণসী, গুয়াহাটি, বাগডোগরা ঘুরে এ শহরে আসছেন। এ বিষয়ে প্রশাসনের এক কর্তা বলেন, “পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখেই এই আবেদন করেছিলেন রাজ্য সরকার। কিন্তু কেউ ঘুরপথে এলে আটকানো সত্যিই অসম্ভব। কখনই এই লড়াই প্রশাসনের একার নয়। সাধারণ মানুষের সচেতনতা প্রয়োজন।”