রাজস্থান সংকট: হাইকোর্টে রায়ের পর কী কী হতে পারে?

রাজস্থান বিধানসভার স্পিকারের নোটিশ চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে মামলা করেছেন শচিন পাইলট সহ ১৯ জন বিক্ষুব্ধ কংগ্রেস বিধায়ক। মঙ্গলবারই সম্ভবত মামলার রায় ঘোষণা করবেন বিচারপতিরা। কংগ্রেস বনাম কংগ্রেসের এই সম্মানের লড়াইয়ে শেষ পর্যন্ত কী হয় সেদিকে নজর সবার।

এই অাইনি লড়াইয়ে পাইলট শিবির যদি জিতে যায় তাহলে কী করবে কংগ্রেস? দলীয় সূত্রে খবর, সেক্ষেত্রে পাল্টা চালে পাইলটদের মাত করতে এখন থেকেই প্ল্যান-বি তৈরি রেখেছেন মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট ও ক্ষমতাসীন শাসক দলের নেতারা। কী সেই স্ট্র্যাটেজি? জানা গিয়েছে, রাজস্থান হাইকোর্ট যদি স্পিকারের নোটিশ খারিজ করে পাইলটদের বিধায়ক পদ বহাল রাখার রায় দেয় তাহলে অবিলম্বে বিধানসভার অধিবেশন ডাকবে রাজ্য সরকার। সেইসঙ্গে, সরকার পক্ষ নিজেদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করতে প্রস্তাব আনবে। এর পাশাপাশি সরকারপক্ষের মুখ্য সচেতক মহেশ যোশী কংগ্রেসের সব বিধায়ককে হুইপ জারি করবেন যাতে তাঁরা অাস্থা ভোটের দিন বিধানসভায় উপস্থিত থেকে গেহলট সরকারের পক্ষে ভোট দেন। পাইলট সহ বিদ্রোহী কংগ্রেস বিধায়করা যদি এই হুইপ অমান্য করেন অথবা ভোটাভুটি থেকে বিরত থাকেন তাহলে সংবিধানের দশম তফশিলের ২(১) (খ) ধারায় তাঁদের বিধায়ক পদ খারিজ হয়ে যাবে। এর আগে দলত্যাগ বিরোধী আইনের ২(১) (ক) ধারায় পাইলটদের নোটিশ পাঠান স্পিকার। হাইকোর্টে এখন তাকে চ্যালেঞ্জ করেই মামলা চলছে। কিন্তু কোর্টের রায়ে বেঁচে গেলেও গেহলটের পরবর্তী চালের সামনে কী শচিন পাইলট কী করবেন তা নিয়ে এখন থেকেই কৌতূহল তুঙ্গে। কারণ বিধানসভার ভোটাভুটিতে দলের হুইপ অমান্য করার অর্থ, সঙ্গে সঙ্গে বিধায়ক পদ খারিজ হয়ে যাওয়া। যদিও তারপরও আদালতে যাওয়ার সুযোগ থাকবে পাইলটদের সামনে।

আর যদি রাজস্থান হাইকোর্টে হেরে যান পাইলট? সেক্ষেত্রে ১৯ জন বিধায়কের পদ খারিজ হয়ে সরকার গঠনের মেজরিটি মার্ক ১০১ থেকে এমনিতেই অনেকটা কমে আসবে এবং চোখ বুজে জিতে যাবেন অশোক গেহলট। কংগ্রেস বনাম কংগ্রেস যুদ্ধে তাই আপাতত গেহলট শিবিরেরই অ্যাডভান্টেজ, এমনই মত রাজনৈতিক মহলের।

 

Previous article৫টি হাতে রেখে বাকি সব ব্যাঙ্ক বেসরকারি হাতে দিচ্ছে কেন্দ্র, তুমুল জল্পনা
Next articleশহিদদের শ্রদ্ধা জানিয়ে টুইট মুখ্যমন্ত্রীর