আরও বেশি শক্তি নিয়ে একুশে ফিরবে শাসকদল: ধর্মতলার সংক্ষিপ্ত সভায় জানালেন তৃণমূল নেতৃত্ব

মারণ ভাইরাস সংক্রমণের জেরে এবছর ‘একুশে জুলাই’-এর সভা ব্রিগেডে না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার বদলে এদিন সভা হবে ভার্চুয়াল প্লাটফর্মে। কিন্তু শহিদদের স্মৃতিতে ধর্মতলায় একটি মঞ্চ এবং শহিদবেদি তৈরি করা হয়। বারোটা নাগাদ তৃণমূলের শীর্ষস্থানীয় কয়েকজন নেতা সেখানে উপস্থিত থেকে শহিদবেদিতে শ্রদ্ধা জানান। একই সঙ্গে মঞ্চে সংক্ষিপ্ত ভাষণ দেন। উপস্থিত ছিলেন তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়, সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, সুব্রত বক্সি, মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস, রাজ্যসভার সাংসদ শান্তনু সেন, মালা রায়, বৈশ্বানর চট্টোপাধ্যায় সহ কয়েকজন প্রথম সারির নেতৃত্ব। পার্থ চট্টোপাধ্যায় ১৯৯৩ সালে একুশে জুলাই পুলিশের গুলিতে নিহত শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান। তিনি জানান, এই পরিস্থিতিতে ভার্চুয়াল সভা করতে হচ্ছে এবং রাজ্যের সব তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকরাও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাষণের জন্য অপেক্ষা করছেন।

এরপরই বক্তব্য রাখেন তৃণমূল সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, জনতার রায়ে রাজ্যে ক্ষমতায় রয়েছে তৃণমূল। ২০২১-এ আরও বেশি ক্ষমতা নিয়ে তাঁরা ফিরবেন বলে আশা প্রকাশ করেন সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, “আপনারা কেন্দ্রে ক্ষমতা চালান। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে এখানে নির্বিঘ্নে সরকার চালাতে দিন”।
সুব্রত বক্সি বলেন, ১৯৯৩ সালে একুশে জুলাইয়ে আন্দোলন ছিল গণতান্ত্রিক আন্দোলন। স্মরণ করেন কীভাবে বিনা প্ররোচনায় গুলি চালিয়েছিল তৎকালীন বাম সরকারের পুলিশ। তৃণমূলের ইতিহাসে এটি স্মরণীয় দিন। সেদিন রক্তাক্ত হয়েছিলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। তিনি জানান, অতিমারির কারণেই হু-এর গাইডলাইন মেনে এবার ভার্চুয়াল সভার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
স্বল্প দৈর্ঘ্যের স্মরণসভার পরে পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানান, দুপুর একটা থেকে দুটো পর্যন্ত রাজ্য জুড়ে বিভিন্ন ব্লকে তৃণমূলের দলীয় কার্যালয় পতাকা উত্তোলন এবং শহিদ স্মরণ করা হবে। এরপর দুটো থেকে ভার্চুয়াল সভায় ভাষণ দেবেন তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

Previous articleবেলভিউতে চিকিৎসাধীন সোমেন মিত্র
Next articleদিল্লির ডাকে ছুটছেন মুকুল, সর্বভারতীয় সহ সভাপতি?