বাঁচতে শিখিয়ে কাঁদালেন সুশান্ত, ‘দিল বেচারা’র রিভিউ: শেষবারের মতো…

শুক্রবার, ২৪ জুলাই ২০২০-কে ‘দিল বেচারা দিবস’ বললেও ভুল বলা হবে না। কারণ, সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর পর তাঁর এই শেষ ছবি দেখার থেকেও বেশি ছিল ছবিটি উদযাপনের।  এই গল্প আশ্চর্য ভাবে আর সিনেমা হয়ে ওঠেনি। এ যেন আধখানা অধরা সুশান্তের জীবন।  যে খেলার ছলেই ছবিতে সংলাপ বলে, ‘‘আমি একজন অ্যাস্ট্রোনট।’’ আরও বলে, ‘‘মৃত্যুর সময় আমাদের জানা নেই। আমরা যে মুহূর্তে থাকি সেটুকু নিজের মতো করে বাঁচি!’’ বলে, ‘‘এক থা রাজা, এক থি রানি। রাজা মর গয়ি। পর রাজা কা রানি আভি জিন্দা হ্যায়…।”

 

এগুলোই কি বলতে চেয়েছিলেন সুশান্ত? আর থেকে থেকে মনে হতে থাকে সুশান্তের প্রেম যে মানবীদের মধ্যে আজও বেঁচে আছে? তাঁরা কী ভাবছেন? তিনি অঙ্কিতা কি না কারও জানা নেই! তিনি রিয়া বা অন্য কেউ কি না তাও অজানা! গল্পে রয়েছে, নায়িকার থাইরয়েড ক্যানসার। তাঁকে সর্বক্ষণ অক্সিজেন সিলিন্ডার বয়ে বেড়াতে হয়।

রেগি মিলারের জার্সিতে তাঁর স্বপ্নের রাজকুমারের সঙ্গে প্রথম দেখা হয় তাঁর। কিন্তু অত্যন্ত চাপে থাকা কিজি ও তাঁর মা অভিনয়ে স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায় কিছুতেই যেন বুঝতে পারেন না জীবনকে নিয়ে কী ভাবে এগিয়ে যাবেন। আর সেখানেই নতুন ভোরের মত আলোকপাত ম্যানির। ছবিতে স্বস্তিকার স্বামীর চরিত্রে অভিনয় করেছেন শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়।

মৃত্যুকে ছাপিয়ে এই অতিমারির কালে মুহূর্তকে খুশির মুঠোয় ভরে দিতে চেয়েছে এই ছবি। ঠিক যেমন সুশান্ত, তাঁর দর্শককে ‘বেচারা’ দেখতে মোটেই রাজি নন, তারা হয়ে আলো দেখান তাঁদের।১ ঘণ্টা ৪১ মিনিট ৩০ সেকেন্ড এই ছবির জন্য বড্ড কমই মনে হয়। কিন্তু শেষে রয়েছে একটা শূন্যতা। একটা মন খারাপের সুর। যেন শেষ হয়ে যাচ্ছে… এমন একটা অনুভূতি।

Previous articleআনুষ্ঠানিক উদ্বোধন ছাড়া চালু হলো তিস্তার উপরে নয়া সেতু
Next articleঅকারণে পথে: চুঁচুড়ায় চাকার হাওয়া খুলছে পুলিশ