চিনের প্রতি বার্তা, ভারত মহাসাগরে রণসজ্জা ভারতীয় নৌসেনার

ভারত-চিন সংঘাত যে সহজে মেটার নয় তা এখন পরিস্কার। পূর্ব লাদাখের গালওয়ানে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ক্ষতও জুড়োবে না তাড়াতাড়ি। বরং চিনের সঙ্গে কূটনৈতিক আলোচনা চালানোর পাশাপাশি অর্থনৈতিক ও সামরিক কৌশলে চিনের একাধিপত্যের নীতির উপর চাপ তৈরি করাই ভারতের সামনে গ্রহণযোগ্য পথ। সেই লক্ষ্যে এবার ভারত মহাসাগরে নজিরবিহীন রণসজ্জা প্রদর্শন করে চিনকে বার্তা দিতে চাইল নয়াদিল্লি। সেই উদ্দেশ্যে ভারত মহাসাগরে সাজানো হল নৌবাহিনীর একাধিক যুদ্ধজাহাজ। বাহিনীর এক সেনাকর্তা জানিয়েছেন, গালওয়ান উপত্যকায় ২০ জন ভারতীয় সেনার শহিদ হওয়ার জবাব দিতেই ভারতীয় নৌসেনা প্রথম সারির সব যুদ্ধজাহাজ ও সাবমেরিন সাজিয়ে রেখেছে ভারত মহাসাগরে। লাদাখে চিনের আগ্রাসনের নীতি যে ভারতের কাছে আদৌ গ্রহণযোগ্য নয়, তা বোঝাতেই এই ব্যবস্থা।

সম্প্রতি চিন নিয়ে সীমান্তে উত্তেজনার আবহে নিয়মিত বৈঠক করছেন ভারতীয় স্থল, বায়ু ও নৌ সেনাবাহিনীর প্রধানরা। চিন ও পাকিস্তান, দুই বিরোধী শক্তিকে রুখতে সবরকম প্রস্তুতি চূড়ান্ত করার পরিকল্পনা চলছে দফায় দফায়। মঙ্গলবার নতুন করে একদফা জাহাজ ভারত মহাসাগরে পাঠিয়ে চোখে পড়ার মতো বার্তা দেওয়া সম্ভব হলেও প্রস্তুতি চলেছে অনেক দিন ধরেই। কয়েকদিন আগেই বঙ্গোপসাগরে মার্কিন রণতরীর সঙ্গে ‘পাসেক্স’ নৌমহড়া সেরে নিয়েছে ভারত। আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের কাছে বঙ্গোসাগরে মার্কিন রণতরী ইউএসএস নিমিটিজ়ের সঙ্গে নৌমহড়ায় অংশ নেয় ভারতের নৌবাহিনী। পূর্ব লাদাখে সীমান্ত উত্তেজনার টানটান পরিস্থিতিতে সমুদ্রে অামেরিকা, অস্ট্রেলিয়া ও জাপানের সঙ্গে ভারতের যৌথ নৌ-মহড়া যে চিনের জন্য স্বস্তিদায়ক নয় তা বলার অপেক্ষা রাখে না। ভারত মহাসাগরে সেরা রণতরী ও সাবমেরিনের বিপুল সমাবেশ ঘটিয়ে চিনকে কূটনৈতিক বার্তাই দিতে চায় ভারত।

 

Previous articleমৃত্যুর ‘মাত্র’ ১২৯ বছর পরে নিমতলায় ঠাঁই পেলেন বিদ্যাসাগর
Next articleমার্কিন মুলুকে মোহনবাগান দিবস! ইতিহাসের টাইমস স্কোয়ারে ভেসে উঠল ঐতিহ্যের সবুজ-মেরুন