একটা যুগের অবসান ঘটিয়ে চলে গেলেন সবার প্রিয় ছোড়দা। বুধবার রাত ১:৫০ মিনিটে দক্ষিণ কলকাতার নার্সিংহোমে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা সোমেন মিত্রর। দলমত নির্বিশেষে এদিন তাঁকে শেষ বিদায় জানালেন সকলে।

বৃহস্পতিবার সকালে বেলভিউ হাসপাতাল থেকে বিধান ভবন পৌঁছয় তাঁর মরদেহ। এই বিধান ভবন একদিন নিজে দাঁড়িয়ে থেকে তৈরি করিয়েছিলেন তিনি। ১২টা পর্যন্ত সেখানেই শায়িত থাকে সোমেন মিত্রর দেহ। সেখান থেকে তাঁর বাসভবন ৩ নং লোয়ার রডন স্ট্রিট নিয়ে যাওয়া হয়। এই বাড়িতেই হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার আগে পর্যন্ত কাটিয়েছেন তিনি। কান্নায় ভেঙে পড়েন সোমেন মিত্রর স্ত্রী শিখা মিত্র।

এদিন বিধানসভায় তাঁকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে উপস্থিত হয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু নবান্নে একাধিক কাজ থাকায় সোমেন মিত্রর দেহ আসা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে পারেননি তিনি। দেড়টার পর দেহ পৌঁছয় বিধানসভায়। সেখানে তাঁকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে উপস্থিত ছিলেন শাসক দলের নেতা থেকে বিরোধী নেতারাও। এদিন বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতার দেহ নিয়ে যাওয়া হয় আদি বাড়ি ৪৫ নম্বর আমহার্স্ট স্ট্রিটে। এই বাড়িতে থাকাকালীন রাজনীতিতে হাতেখড়ি হয় সোমেন মিত্রর। ভাইরাসকে উপেক্ষা করে ছোড়দাকে শেষবার দেখতে ছোটেন অগণিত মানুষ। রাজনৈতিক মতাদর্শ নির্বিশেষে শেষ যাত্রায় সামিল হয়েছিলেন বহু মানুষ। সন্ধে নাগাদ নিমতলা মহাশ্মশানে শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়।
