সংক্রমণের শঙ্কায় ফের বাড়তে চলেছে প্যারোলের মেয়াদ

সংক্রমণ এখন জেলের মধ্যেও। কারা দফতরের তরফে জানানো হয়েছে এখনও পর্যন্ত ২৩ জন বন্দি ও ১৭ জনকর্মী সংক্রমিত হয়েছেন। এই তথ্যকে সামনে এনেই কলকাতা হাইকোর্ট গঠিত কমিটির সামনে রাজ্য জানিয়েছে, আদালতের নির্দেশ মেনে অন্তর্বর্তী জামিন ও প্যারোলে বন্দিদের মুক্তি দেওয়ার পরেও সংশোধনাগারে বন্দির সংখ্যা বেশি। এই পরিস্থিতি মহামারি- স্বাস্থ্যবিধি অনুযায়ী নিরাপদ নয়। তাই অন্তর্বর্তী জামিন এবং প্যারোলে যারা ছাড়া পেয়েছে, তাদের বাইরে থাকার মেয়াদ কমপক্ষে আরও দুই মাস বাড়ানো হোক। এই প্রস্তাব খতিয়ে দেখে কমিটি বলেছে, গত ২৭ মার্চ ও ৬ এপ্রিলের সুপারিশ অনুযায়ী যারা ছাড়া পেয়েছিল, তাদের বাইরে থাকার মেয়াদ বৃদ্ধি করা যেতে পারে। অবশ্য যদি তারা বাইরে থাকার শর্ত লঙ্ঘন না করে থাকে। কমিটি বলেছে, রাজনৈতিক বন্দিদের সম্পর্কে রাজ্য যে সিদ্ধান্ত নেবে। উল্লেখ্য, ১৩ জন রাজনৈতিক বন্দির তরফে এডিজি-কারা’র কাছে এক আবেদন পাঠানো হয়। রাজনৈতিক বন্দি সহ বয়স্ক এবং অসুস্থ বন্দিদেরও অন্তর্বর্তী জামিন এবং প্যারোল দেওয়া হোক। অন্তত অর্ধেক বন্দিকে অন্যদের মতো ছেড়ে দেওয়া হোক। বলা হয়েছে, রাজনৈতিক বন্দিদের প্রতি বৈষম্য হচ্ছে। এই আবেদনের জবাবে রাজ্য জানিয়েছে, উচ্চপর্যায়ের কমিটি বলেছিল, শুধুমাত্র সুস্থদের ছাড়া হবে। বয়স্কদের ছাড়ার ব্যাপারে কিছু বিধিনিষেধ আছে। তাছাড়া সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশেই বলা আছে, অপরাধের ধরন দেখে ও আইনি পর্যালোচনা করে তবেই যেন বন্দিদের ছাড়া হয়। সরকারের এই অভিমতকেই হাইকোর্ট কমিটি স্বীকৃতি দিয়েছে বলে জানা গিয়েছে৷

ওদিকে জানা গিয়েছে, বন্দি, কারাকর্মী বা অফিসারদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হয়েছেন বারুইপুর সংশোধনাগারে।

Previous articleলকডাউনে জনস্রোতে ভেসে শেষকৃত্য ছোড়দা’র
Next articleছোট ব্যবসায়ীদের স্বার্থে বীরভূমে লকডাউনের সময়সূচি পরিবর্তন: অনুব্রত