রাজ্যসভার সাংসদ অমর সিং প্রয়াত। বিগত বেশ কয়েক মাস ধরে সিঙ্গাপুরের হাসপাতালে তাঁর চিকিৎসা চলছিল। ২০১৩ সালে তাঁর কিডনির অসুখ ধরা পড়ে। চিকিৎসার পর ফের রাজনীতিতে ফেরেন ২০১৬ সালে। আবার ২০১৯-এ অসুস্থ হন। কলকাতায় বেড়ে ওঠা ৬৪ বছরের অমর সিং রেখে গেলেন স্ত্রী পঙজা এবং দুই যমজ মেয়েকে। এ বছরের মার্চ মাস নাগাদ গুজব ছড়ায় অমর সিং মারা গিয়েছেন। হাসপাতালের বেড থেকে অমর সিং ট্যুইট করে জানিয়েছিলেন, ‘টাইগার জিন্দা হ্যায়।’
আজ শনিবার সকালেও ট্যুইট করে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়ে ছিলেন এবং বালগঙ্গাধর তিলকের জন্মদিনে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেছিলেন। তারপর সময় গড়াতে নিজেই চলে গেলেন অতীতের পাতায়। ওই সময় একটি ভিডিও ট্যুইট করে দেশের মানুষকে অনুরোধ করেছিলেন করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে প্রধানমন্ত্রীর পাশে থাকার জন্য।
রাজনীতির আঙিনায় অমর সিং ক্ষমতার অলিন্দে ঘোরাফেরা করতেন। ছিলেন পলিটিক্যাল ম্যানেজার। দিল্লিতে সরকার তৈরি করা, সাংসদদের সমর্থন জোগাড় করার প্রশ্নে পর্দার আড়ালে থেকে অমর সিং-এর ভূমিকা ছিল চোখে পড়ার মতো। মুলায়ম সিং-এর সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক ছিল দাদা ভাইয়ের মতো। কিন্তু সেই দল ছেড়েই তিনি একসময় বেরিয়ে আসেন ২০১০ সালে। সমাজবাদী পার্টি তাঁকে বহিষ্কারও করে। অমিতাভ বচ্চন পরিবারের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক ছিল চোখে পড়ার মতো। কিন্তু রাজনৈতিক ডামাডোলে সেই সম্পর্কেরও ইতি হয়। জয়া বচ্চনকে সাংসদ করার পিছনে তার ভূমিকা কেউই অস্বীকার করতে পারবেন না। পরে সিঙ্গাপুরে হাসপাতালের বেডে শুয়ে অমিতাভ বচ্চনের সঙ্গে খারাপ সম্পর্কের কারণে নিজেকে দোষী সাব্যস্ত করে দুঃখ প্রকাশও করেন।