সংক্রমণ রুখতে লালবাজারে ‘আইসোলেশন সেল’

কোনও অভিযুক্তের থেকে পুলিশকর্মীরা যাতে ভাইরাস আক্রান্ত না হন, সেজন্য লালবাজার সেন্ট্রাল লকআপে তৈরি হল পৃথক ‘আইসোলেশন সেল’। এর আগেই প্রতারণা মামলায় অভিযুক্ত ধৃতকে জেরা করেন দুই পুলিশ আধিকারিক। সেই ধৃত ব্যক্তি আক্রান্ত হন। একই সঙ্গে আক্রান্ত হন দুই পুলিশ আধিকারিকও। এই ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে আইসোলেশন সেল তৈরি করা হয়েছে বলে লালবাজার সূত্রের খবর।

লালবাজারে সেন্ট্রাল লকআপে মূলত গোয়েন্দা বিভাগের বিভিন্ন মামলায় ধৃত ‘হাই রিস্ক’ অভিযুক্ত ও রাজনৈতিক মামলায় অভিযুক্তদের রাখা হয়। কিন্তু এই পরিস্থিতিতে কোনও অভিযুক্তের থেকে যাতে পুলিশকর্মীরা আক্রান্ত না হন সেজন্য পৃথক সেল তৈরি করা হয়েছে। সেন্ট্রাল লকআপে থাকা কোনও অভিযুক্তের শরীরে জ্বর বা অন্য কোনও কোভিড উপসর্গ থাকলে তাঁকে সঙ্গে সঙ্গে এই সেলে সরানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সেখানে রেখে প্রথমে কোভিড টেস্ট হবে। রিপোর্ট পজিটিভ এলে হাসপাতালে ভর্তির ব্যবস্থা করতে হবে।
এর পাশাপাশি একগুচ্ছ নির্দেশিকা দিয়েছে লালবাজার।

লকআপে ঢোকানোর আগে থার্মাল স্ক্যানিং বাধ্যতামূলক

ধৃত অভিযুক্তদের মাস্ক এবং স্যানিটাইজার দিতে হবে।

তারা সেটা যাতে ব্যবহার করে তা দেখতে হবে

একাধিক অভিযুক্ত থাকলে লকআপের ভেতরে সামাজিক দূরত্ব বিধি বজায় রাখতে হবে

লকআপ নিয়মিত স্যানিটাইজ করতে হবে

লালবাজারের পাশাপাশি কলকাতা পুলিশের প্রত্যেকটি থানার ক্ষেত্রেও একই নিয়ম মানার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

Previous articleদিলীপ-রাহুলকে বিশালাকার রাখি পরিয়ে উৎসব পালন মহিলা মোর্চার
Next articleপ্রকাশিত হলো রাম মন্দিরের ভূমি পুজোর আমন্ত্রণপত্র