জয়েন্ট এন্ট্রান্সে দ্বিতীয় দুর্গাপুরের শুভম, পঞ্চম স্থানে শহরেরই পূর্ণেন্দু

বাবা-মায়ের সঙ্গে দ্বিতীয় স্থানাধিকারী শুভম ঘোষ

জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষায় দ্বিতীয় হয়েছেন দুর্গাপুরের শুভম ঘোষ। ডিএভি মডেল স্কুলের ছাত্র শুভম বরাবরই মেধাবী ছাত্র। পঞ্চম স্থান অধিকার করেছেন এই শহরেরই পূর্ণেন্দু সেন।

দুর্গাপুর ইস্পাত নগরীর বি-জোন এডিসন রোডের বাসিন্দা শুভম। বাবা বিশ্বনাথ ঘোষ সৈনিক স্কুলের প্রাক্তন অধ্যাপক। মা কল্যানী ঘোষ দুর্গাপুর ইস্পাত হাসপাতালে নার্স । ফল প্রকাশের পর স্বাভাবিকভাবেই উচ্ছ্বসিত শুভম। শুভম জানিয়েছেন, “বাবা মা এবং আমার স্কুলের শিক্ষকদের অবদান বিরাট আমার এই সাফল্যের জন্য।” ডিএভি মডেল স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকারা বলেন, “স্কুলে বরাবরই ভাল ফল করে আসছে শুভম। ভীষণ বাধ্য ছাত্র।” মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকেও তাঁর ফল যথেষ্ট ভাল। এত ভালো ফল করে ঠিক কী মনে হচ্ছে? শুভমের উত্তর, “জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষায় দশের মধ্যে থাকব আশা করেছিলাম কিন্তু দ্বিতীয় হব, এতটা আশা করেননি। আমি কমপিউটার সায়েন্স নিয়ে পড়াশুনা করতে চাই।”

শুধু লেখাপড়া নয়, পাশাপাশি খেলাধূলাও করেন শুভম। শুভমের বাবা বিশ্বনাথবাবু বলেন,” ওকে আমরা কখনোই লেখাপড়ার জন্য চাপ দিইনি। ওর যখন খুশি তখন পড়তে বসতো ।”পাশাপাশি খেলাধুলাও করত।”

জয়েন্ট এন্ট্রান্সে পঞ্চম স্থান অধিকার করেছেন পূর্ণেন্দু সেন। তিনি দুর্গাপুরের বেঙ্গল অম্বুজায় একটি ঘরে ভাড়া থাকেন। তাঁদের আসল বাড়ি বাঁকুড়া জেলায়। পূর্ণেন্দুর দাদা বর্তমানে আইআইটি খড়্গপুরে গবেষণারত। তাঁর বাবা বাঁকুড়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের কর্মী।

জয়েন্টে পঞ্চম পূর্ণেন্দু সেন।
তাঁর কথায় এই ফল তাঁর কাছে অবিশ্বাস্য। তিনি চান তাঁর দাদার মতোই আইআইটিতে পড়তে। পছন্দের বিষয় কম্পিউটার সায়েন্স। তবে পছন্দের আইআইটিতে সুযোগ না পেলে তিনি যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে চান বলে জানিয়েছেন।

জয়েন্টে পঞ্চম পূর্ণেন্দু সেন
Previous articleবাংলায় করোনা আক্রান্ত ৯০ হাজার ছুঁইছুঁই, ২ হাজারের দোরগোড়ায়
Next articleকোঝিকোড়ের বিমান দুর্ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৪, গুরুতর আহত বহু