ফের এক জেলায় জোর ধাক্কা খেল বিজেপি। এবার পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশিয়াড়ি পঞ্চায়েত সমিতিতে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেল তৃণমূল। কেশিয়াড়ি পঞ্চায়েত সমিতিতে মোট আসন সংখ্যা ২৫। ২০১৮ পঞ্চায়েত নির্বাচনে ১৩টি আসন জিতেছিল বিজেপি। আর ১২টি আসন গিয়েছিল তৃণমূলের ঝুলিতে। সেবার সংখ্যা গরিষ্ঠ আসনে জয়লাভ করলেও বিভিন্ন জটিলতায় বোর্ড গঠন করতে পারেনি গেরুয়া শিবির।

এরপর মামলা গড়ায় আদালতে। কেশিয়াড়ি পঞ্চায়েত সমিতিতে বোর্ড গঠনের দাবি জানিয়ে হাইকোর্টে মামলা করে বিজেপি। এখনও পর্যন্ত সেই মামলার নিষ্পত্তি হয়নি। প্রায় আড়াই বছর পার করেও বোর্ড গঠন না হওয়ায় কেশিয়াড়ি পঞ্চায়েত সমিতিতে দীর্ঘ অচলাবস্থা চলতে থাকে। পরিষেবা থেকে বঞ্চিত হয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে ক্ষোভের সঞ্চার হয়। বিজেপিকে ভোট দিয়ে ভুল করেছেন বলে জানান এলাকার মানুষ। বিজেপির নির্বাচিত সদস্যরাও পরিষেবা দিতে না পেরে মানুষের সামনে মুখ দেখাতে পারছিলেন না।


এমন পরিস্থিতিতে মেদিনীপুর শহরে তৃণমূলের জেলা কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে গিয়ে দলবদল করেন কেশিয়াড়ি পঞ্চায়েত সমিতির দুই বিজেপি সদস্য শান্তি কিস্কু ও নবকুমার সিং। তাঁদের সঙ্গেই বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলের পতাকা হাতে তুলে নেন কেশিয়াড়ি বিধানসভা এলাকার বিজেপির সংযোজক অর্জুন দাস।

তৃণমূলে যোগদানের পর তাঁদের অভিযোগ, রাজ্য নেতৃত্ব যেভাবে দল পরিচালনা করছেন, তাতে মানুষের উন্নয়ন হতে পারে না। শুধু গিমিক করে মানুষের মন জয় করা যায় না।
মানুষ বিজেপি থেকে দূরে সরে যাচ্ছে। তাই উন্নয়নের স্বার্থেই দলবদলের এই সিদ্ধান্ত। বাংলার উন্নয়নের কাণ্ডারি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বেই এখন থেকে তাঁরা মানুষের উন্নয়ননের জন্য কাজ করবেন।


পশ্চিম মেদিনীপুরে তৃণমূলের জেলা সভাপতি অজিত মাইতি বলেন, “কেশিয়াড়ি পঞ্চায়েত সমিতিতে আমরা সংখ্যা গরিষ্ঠতা পেলেও বোর্ড গঠনের বিষয়টি এখনও আদালতের বিচারাধীন। আদালতের নির্দেশ মতোই বোর্ড গঠন হবে। সবে শুরু, খুব অল্পদিনের মধ্যেই এক এক করে বিজেপির সমস্ত পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যরা তৃণমূলে যোগদান করবেন”।
