প্রায় দু’যুগ ধরে বিজ্ঞানের সঙ্গে ছিল চরবৃত্তির তকমা। দীর্ঘ আইনি লড়াইয়ের পর ২০১৮ সালে সুপ্রিম কোর্টের রায় চর তকমা ঘুচে যায়। কিন্তু কালিমালিপ্ত হয় তাঁর ভাবমূর্তি। তাই আদালতের দ্বারস্থ হন ইসরোর বিজ্ঞানী নামবি নারায়ণ।
১৯৯৪ সালে চরবৃত্তির অভিযোগে বিজ্ঞানী কে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, তিনি এবং ইসরোর অন্য এক বিজ্ঞানী ক্রায়োজেনিক রকেট টেকনোলজির নথি শত্রু দেশের হাতে তুলে দিয়েছেন। নামবি দাবি করেন, রকেটের তরল জ্বালানীর প্রযুক্তি পিছিয়ে দেওয়ার জন্য চরকাণ্ড আসলে একটি আন্তর্জাতিক চক্রান্ত।
দু মাস জেলে কাটানোর পর মুক্তি পান তিনি। এরপর মামলা যায় সিবিআই এর হাতে। শুরু হয় আইনি লড়াই। দীর্ঘ ২৪ বছরের লড়াই শেষে ২০১৮ সালে শীর্ষ আদালতের রায় দেয় নামবির বিরুদ্ধে চরবৃত্তির অভিযোগ ভিত্তিহীন। একই সঙ্গে ক্ষতিপূরণ বাবদ বিজ্ঞানীকে ৫০ লক্ষ টাকা দেওয়ার নির্দেশ দেয় আদালত। এই ক্ষতিপূরণ অত্যন্ত কম বলেও জানায় সুপ্রিম কোর্ট। এরপর নিম্ন আদালতের দ্বারস্থ হন নামবি। মামলা চলাকালীন কেরল সরকার তাঁর সঙ্গে সমঝোতায় আসতে। শেষমেষ আলোচনায় সিদ্ধান্ত হয় বিজ্ঞানী নামবি নারায়ণকে ১.৩০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। সেই অনুযায়ী মঙ্গলবার ১.৩০ কোটির টাকার চেক তুলে দেয় সংশ্লিষ্ট রাজ্য সরকার।