যুদ্ধবিরতির পর আজই প্রথম মুখোমুখি বৈঠকে গেহলট ও পাইলট

এক মাসেরও বেশি সময় ধরে চলা রাজস্থানের রাজনৈতিক সংকট আপাতত মেটার পর আজই প্রথম মুখোমুখি বৈঠকে বসবেন মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট ও প্রাক্তন উপ মুখ্যমন্ত্রী শচিন পাইলট। আগামীকাল থেকে শুরু হচ্ছে রাজ্য বিধানসভার বিশেষ অধিবেশন। তার আগে বৃহস্পতিবার পরিষদীয় দলের বৈঠকে গেহলট ও পাইলট সহ থাকবেন সব বিধায়করাই। গত এক মাস ধরে পরস্পরের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ শানিয়ে যুদ্ধবিরতির পর মুখোমুখি বৈঠকে গেহলট ও পাইলট কেমন সৌহার্দ্যের বার্তা দেন, সেদিকে নজর সবার। পরিষদীয় দলের এই বৈঠকে এআইসিসি- র পর্যবেক্ষক হয়ে থাকার কথা অবিনাশ পাণ্ডে, অজয় মাকেন ও কেসি ভেনুগোপালের।

এদিকে পাইলটকে কিছুদিন আগেই বিজেপির দালাল, বিশ্বাসঘাতক ও অকম্মার ধাড়ি বলে চোখা চোখা আক্রমণ শানিয়েছিলেন গেহলট। বুধবার এবিষয়ে সংবাদমাধ্যমের প্রশ্নের জবাবে রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, যা হয়েছে ভুলে গিয়েছি, ক্ষমাও করে দিয়েছি। এটা বাস্তব যে দলের প্রতি একনিষ্ঠ বিধায়করা এতে একটু মনঃক্ষুণ্ণ হবেন। গত একমাস ধরে তাঁদের ওপর দিয়ে যে ঝড় বয়েছে, যেভাবে হোটেলবন্দী থাকতে হয়েছে তাতে এটা মনে হওয়া স্বাভাবিক। আমি ওদের বুঝিয়েছি দেশের কাজ করতে গেলে সহিষ্ণু হতে হয়। রাজ্যের মানুষের পাশে দাঁড়ানো এখন জরুরি। গেহলটের মন্তব্য, ভুলকে ক্ষমা করতে হবে গণতন্ত্রের কথা ভেবে। অন্তত একশো জন বিধায়ক আমাকে সমর্থন করেছেন। এই লড়াই ছিল গণতন্ত্র বাঁচানোর। আর সেই লড়াইয়ে বিজেপি পরাজিত। ওরা মধ্যপ্রদেশ আর কর্নাটকে যা করেছে, সেটা রাজস্থানে করতে পারেনি।

অন্যদিকে বিদ্রোহে ইতি টেনে দিল্লি থেকে জয়পুরে ফিরে শচিন পাইলট বলেছেন, কোনও দুঃখ নেই। আমি কখনই রাজ্য সরকারের অংশ ছিলাম না। তবে, প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি হিসেবে সবাইকে একসঙ্গে নিয়ে চলার চেষ্টা করেছি। নিজের জন্য কোনও পদের দাবি করিনি। শুধু নিশ্চিত করতে চেয়েছি, যে বিধায়করা বিরোধিতা ভুলে মূলস্রোতে ফিরছেন, তাঁদের যেন প্রতিহিংসার শিকার না হতে হয়। সোমবার দিল্লিতে প্রায় দু’ঘণ্টা রাহুল গান্ধীর সঙ্গে বৈঠক করেন পাইলট। এরপর তিন সদস্যের কমিটি গড়ে তাঁর অভিযোগ খতিয়ে দেখা হবে বলে আশ্বাস দেওয়া হয়। পাশাপাশি এটাও তাঁকে স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেওয়া হয় যে রাজস্থানে মুখ্যমন্ত্রী পদে থাকবেন অশোক গেহলটই।

 

Previous articleপাক অধিকৃত কাশ্মীর থেকে কেউ ডাক্তারি পাশ করলে ভারতে চিকিৎসার অনুমতি নয়
Next articleপ্রাক্তন ক্রিকেটারদের অভিজ্ঞতা কাজে লাগাক রাজ্য ক্রিকেট সংস্থা, পরামর্শ দ্রাবিড়ের