অশান্ত শান্তিনিকেতন: পৌষমেলার মাঠে পাঁচিল দেওয়া নিয়ে উত্তেজনা

শান্তিনিকেতনের পৌষমেলার মাঠ পাঁচিল ঘিরে ফেলা নিয়ে শুধু অশান্তি। মাঠে পাঁচিল দিতে মাঠে নামেন বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। প্রায় কয়েকশো বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক, অধ্যাপিকা, কর্মী, আধিকারিক নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে নিয়ে নিজে দাঁড়িয়ে থেকে পাঁচিল দেওয়ার জন্য মাটিকাটা মেশিন দিয়ে গর্ত খোঁড়ার কাজ করেন। এর প্রতিবাদে রবিবারের ভোর সোমবারও আন্দোলন করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এদিন সকালে যে অংশে কাছে দেওয়া এবং গেট নির্মাণ হয়েছিল সেই জায়গাটি ভেঙে দেন স্থানীয় বাসিন্দারা।

একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের পক্ষ থেকে শান্তিনিকেতন থানায় উপাচার্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। অভিযোগ, যেখানে ভাইরাস সংক্রমণ আটকাতে ৫০ জনের বেশি মানুষজন একসঙ্গে জমায়েত করতে পারবে না তাও সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে, সেখানে কয়েকশো লোক নিয়ে উপাচার্য কীভাবে জমায়েত করলেন। সমগ্র পরিস্থিতি নিয়ে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কোন মুখ খুলতে রাজি হয়নি।
নিপ্পন ভবন এবং বোলপুর মহকুমা পুলিশ আধিকারিকের অফিসের সামনের এলাকা সংলগ্ন মেলার মাঠ ঘিরে দেওয়ার প্রাথমিক কাজ শুরু হয়। এই কাজ দ্রুত শেষ করার জন্য ওখানে একটি অস্থায়ী ক্যাম্প তৈরি করা হয় এবং গোটা এলাকায় লাইট লাগানো হয়েছে। শনিবার প্রথম বিক্ষোভের মুখে পড়ে মেলার মাঠ পাঁচিল দেওয়ার ঠিকাদার সংস্থার কর্মীরা। স্থানীয় ব্যবসায়ী মানুষজন রবীন্দ্র অনুরাগী সকলেই বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় দ্বারা মেলার মাঠকে ঘিরে দেওয়ার বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন। অভিযোগ,
আন্দোলনকারীরা উপাচার্যের সঙ্গে এবিষয়ে কথা বলতে গেলে কার্যত পালিয়ে যান উপাচার্য বিদুৎ চক্রবর্তী।

Previous articleসুশান্তের সই নকল করে টাকা সরিয়েছেন রিয়া, দাবি প্রাক্তন ম্যানেজার শ্রুতির
Next articleবিজেপিতে শাহিনবাগ আন্দোলনের অন্যতম মুখ শাহজাদ আলি