মালিতে সেনা অভ্যুত্থানের সমালোচনায় রাষ্ট্রসংঘ, প্রেসিডেন্টের মুক্তির দাবি

পশ্চিম আফ্রিকার মালিতে সেনা অভ্যুত্থানের চরম নিন্দা করেছে রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ। একইসঙ্গে বিদ্রোহী সেনার হাতে আটক মালির প্রেসিডেন্টকে অবিলম্বে মুক্তির দাবি জানিয়েছে। সেদেশের সেনাবাহিনীর কাছে দ্রুত শান্তি ফেরানোর আবেদন করেছে নিরাপত্তা পরিষদ। মালিতে নির্বাচিত সরকার ভেঙে দেওয়ার বিষয়টি নিয়ে বুধবার রাষ্ট্রসংঘে দীর্ঘ আলোচনা হয়। প্রসঙ্গত মঙ্গলবার রাতের অভ্যুত্থানে বিদ্রোহী সেনাদের হাতে বন্দি হয়ে পদত্যাগের ঘোষণা করেছেন সেদেশের প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রী। অভ্যুত্থানের পর আফ্রিকার মালিতে এখন অরাজকতা চরমে। এই সেনা অভ্যুত্থানের নিন্দা করেছে আফ্রিকা ও ইউরোপের বহু দেশ। মালি অতীতে ফ্রান্সের উপনিবেশ ছিল। সেদেশে নির্বাচিত প্রেসিডেন্টকে সরাতে অভ্যুত্থান ও বন্দি করার তীব্র সমালোচনা করে ফ্রান্স বলেছে, শান্তি ফেরাতে তারা এখন মধ্যস্থতা করতেও রাজি। মালির পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত তাদের সঙ্গে সমস্ত অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড ছিন্ন করার কথা জানিয়েছে পশ্চিম আফ্রিকার দেশগুলি।

মালিতে অভ্যুত্থানের আগে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিয়েছিলেন প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম বোবাকার কেইতা। গত কয়েক মাস ধরেই দুর্নীতি, অর্থনৈতিক অব্যবস্থা ও বিভিন্ন গোষ্ঠী সংঘর্ষে দেশে জনরোষ বাড়ছিল। সেনাবাহিনী ও সরকারের মধ্যে মতভেদও চরমে ওঠে। সেনাবাহিনীর বেতন- ভাতা নিয়ে ক্রমবর্ধমান অসন্তোষের পাশাপাশি জেহাদিরাও চাইছিল সরকারকে সরাতে। বিদ্রোহী সেনারা রাজধানীতে প্রেসিডেন্টের বাসভবনের সামনে সারি সারি ট্যাঙ্ক নিয়ে হাজির হয়। শূন্যে গুলি ছোঁড়ে। এরপরই রক্তপাত এড়াতে পদত্যাগের ঘোষণা করেন মালির প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম বোবাকার কেইতা। সেই সঙ্গে মালির পার্লামেন্টও ভেঙে দেওয়া হয়েছে। ২০১৮ সালে দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় আসেন কেইতা। তবে মালিতে দুর্নীতি, অর্থনৈতিক অব্যবস্থা এবং সাম্প্রদায়িক সংঘর্ষের কারণে জনরোষের মুখে পড়েন তিনি । বিদ্রোহী সেনারা মালির প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম বোবাকার কেইতা এবং প্রধানমন্ত্রী বোবো সিসেকে রাজধানীর সেনা ছাউনিতে আটকে রেখেছে। খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না পার্লামেন্টের স্পিকার সহ একাধিক প্রশাসনিক শীর্ষ কর্তারও।

 

Previous articleরাজ্যে করোনা আক্রান্ত ছাড়ালো ১ লক্ষ ২৫ হাজার
Next articleবিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ বয়কট করায় বৈঠকের ভবিষ্যৎ নিয়েই ধন্ধ