অভিষেকের ডাকে বাংলা জুড়ে যুব-যোদ্ধাদের মানবিক সাড়া, অভিজিৎ ঘোষের কলম

অভিজিৎ ঘোষ

মত পার্থক্যের ব্যারিকেড ভেঙে সমাজসেবায় পথ দেখাচ্ছেন বাংলার যুবশক্তি। চওড়া হচ্ছে বৃত্ত, পরিধি। বুধবার তৃণমূল যুব সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভার্চুয়াল সভা একদিকে যেমন উৎসাহিত-উদ্দীপিত করেছে যুব-যোদ্ধাদের, তেমনি কোভিড প্রকোপের এই হতাশার সময়ে মানুষের পাশে দাঁড়ানোর নয়া দিশাও দেখাচ্ছে।

‘এখন বিশ্ব বাংলা সংবাদ’-এর জেলার সংবাদদাতারা বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বুধবারের ভার্চুয়াল সভার রিপোর্ট দিচ্ছিলেন। বলছিলেন এলাকায়, পাড়ায়, মহল্লায় কোথায় যেন একটা ধাক্কা লেগেছে। কোচবিহার থেকে কাঁকিনাড়া, পুরুলিয়া থেকে পটাশপুর, অভিষেকের মানবিক ডাকে মানুষের মনে কোথাও যেন একটা কিছু করার ইচ্ছা। যার নির্যাস খুঁজতে বসলে দেখা যাচ্ছে…

১. যারা রাজনীতি করেন, অথচ তৃণমূলের রাজনীতি করেন না, তাঁরা বলছেন, মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য কেন রাজনীতির রঙ দেখব? আর তার উদ্দেশ্য যদি মানুষের সেবা হয়, তাহলে কোথাও একটা শুরুর দরকার হয়। পতাকাবিহীন এই সমাজসেবায় নামা উচিত। কারণ, মানুষ কষ্টে আছেন।

২. যারা রাজনীতিটা করেন না অথচ পুজো থেকে হাসপাতালে ভর্তি, কিংবা রক্তদান থেকে পরীক্ষা মরশুমে রাস্তায় ক্যাম্প করেন কোনও পিঠ চাপড়ানির তোয়াক্কা না করেই, তাঁরাও বলছেন বাংলার নানা রাজনীতির পাঁকালের মাঝে এটা একটা সাধু উদ্যোগ। সঙ্গে থাকা উচিত।

৩. আর যারা মানসিকভাবে সঙ্গে থাকার প্রস্তুতি নিয়ে নিয়েছেন, তাঁরা বলছেন, ভাল লেগেছে দুর্নীতির বিরুদ্ধে নির্ভীক পদক্ষেপের কথা আর জিন্দাবাদ-মুর্দাবাদের রাজনীতি থেকে দূরে হাঁটার চেষ্টা।

এবং সকলেই বিশ্বাস করেন, এই ভাবেই বিন্দুতে বিন্দুতে সিন্ধু তৈরি হয়। সারা পৃথিবীর মানুষ যখন অসময়ের দুর্বিপাকে, তখন বাংলার এই ৬ লক্ষের বেশি যুব-যোদ্ধা চাইলে প্রতিদিনের ৪৫ মিনিট সময় নিজের ঝুলি থেকে বের করে ১০-১৫টি পরিবারকে দিতে পারেন। এটাই এখন সময়ের ডাক।

Previous articleসুশান্তের দেহ ময়নাতদন্তের পর হুমকির ফোনে দুর্বিষহ জীবন, দাবি চিকিৎসকদের
Next articleফের দেশের সেরা পরিচ্ছন্ন শহর ইন্দোর, স্বচ্ছতা সার্ভে রিপোর্ট প্রকাশ করলেন প্রধানমন্ত্রী