শুভেন্দুকে ঘিরে নানা জল্পনা, রহস্য বাড়িয়ে নীরবতা

শুভেন্দু অধিকারীকে ঘিরে গত 48 ঘন্টায় রাজনৈতিক চর্চা দারুণ বেড়ে গিয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়াতেও তার ঝড় বইছে।

জল্পনা 1) তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যাচ্ছেন তিনি। পুজোর আগেই দলবদল।

জল্পনা 2) আলাদা দল গড়ছেন শুভেন্দু। থাকবেন আরও কয়েকজন। নির্বাচন কমিশনে আবেদন হয়ে গিয়েছে। এই দলের সঙ্গে বিজেপির জোট হবে। মূলত সংখ্যালঘু আসন, যেখানে বিজেপির নিজস্ব প্রার্থী জিতবে না, সেখানে লড়বে এই দল। তাছাড়া শুভেন্দুদের প্রভাবিত এলাকায় তো বটেই।

জল্পনা 3) শুভেন্দু তাঁর ঘনিষ্ঠদের তৃণমূল থেকে পদত্যাগ করতে বলছেন।

জল্পনা 4) শুভেন্দু তাঁর ঘনিষ্ঠদের বার্তা দিয়ে বলছেন বিজেপিবিরোধী কোনো কর্মসূচিতে না থাকতে।

জল্পনা 5) শুভেন্দু সরকার ও দলের কর্মসূচি এড়িয়ে চলছেন।

জল্পনা 6) শুভেন্দুপন্থীরা যা ব্যানার, পোস্টার দিচ্ছেন, তাতে দলের চিহ্ন থাকছে না।

এই বিষয়গুলি সত্যি না ভুল, কেউ নিশ্চিত নন। তবে গুঞ্জন প্রবল। শুভেন্দু নিজে গোটা বিষয়টায় মুখে কুলুপ এঁটে রহস্য আরও বাড়াচ্ছেন। বিজেপির একটি অংশ খুশি। অন্য অংশে বিরূপ প্রতিক্রিয়া। তৃণমূল গোটা পরিস্থিতির উপর নজর রাখছে। একটি সূত্র বলছে, শুভেন্দুর কিছু বক্তব্য থাকতেই পারে। কিন্তু বিজেপিতে নেওয়ার সময় আড়ম্বর আর তার পরের জটিল পরিস্থিতি নিশ্চয় তিনিও বিবেচনায় রাখছেন। এখন ভোটের মুখে কৈলাস মুকুল রায়কে সঙ্গে নিয়ে ঘুরছেন, তাঁকে সম্মানের কথা বলা হচ্ছে। কিন্তু গত আড়াই বছর মুকুলের মত নেতাকে কোনো সম্মানজনক পদও দেয়নি বিজেপি। শুভেন্দু বা মুকুল, কাউকেই পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী প্রজেক্ট করে ভোটে যাবে না তারা। তাহলে শুভেন্দুর লাভ কী? বিজেপির একাংশের বক্তব্য, দলটা প্রাক্তন তৃণমূলিদের হাতে যাচ্ছে। এটা হতে দেব না আমরা। সময় এলেই সেটা বোঝা যাবে। অন্য অংশ বলছে, শুভেন্দু তৃণমূল ছাড়াটা একটা বড় ধাক্কা হবে। তাতে আমরা লাভবান হব।

এদিকে, শুভেন্দুর ঘনিষ্ঠ সমর্থকদের ফেস বুক পোস্ট “শূন্য থেকে শুরু”র ইঙ্গিত দিচ্ছে। শুভেন্দু বিভিন্ন জেলায় তাঁর পরিচিতদের সঙ্গে যোগাযোগ বাড়িয়েছেন।
তবে তৃণমূল শীর্ষনেতৃত্বের সঙ্গে শুভেন্দুর স্নায়ুযুদ্ধ চললেও তা যে বিচ্ছেদের বিন্দুতে পৌঁছে গিয়েছে, তা বিশ্বাস করছেন না অনেকেই। যে কোনো দিকে মোড় নিতে পারে পরিস্থিতি।

Previous articleএনআইএ ডাকলে ছত্রধরকে হাজিরা দিতে হবে: রায় হাইকোর্টের
Next articleশেষ ২৪ ঘন্টায় রাজ্যে করোনা আক্রান্ত ৩১৯৭, মৃত্যু ৫৩